মোঃ সাইদুল ইসলাম নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁয় পরকীয়া জেরে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে এক নারীকে (২৭) জখম করে হাতের আঙ্গুল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এক যুবক। ঘটনার পর ওই নারীকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার শহরের দয়ালের মোড় হাসপাতাল রোডের দি পপুলার ল্যাব এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় যুবক নজমুল হোসেন (৩৮) কে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নজমুল হোসেন শহরের মাষ্টারপাড়া মহল্লার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশা চালক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এদিন ওই নারী শহরের দয়ালের মোড়ের হাসপাতাল রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি শহরের চকতাতারু মহল্লা থেকে শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো আজও তিনি ওই রাস্তা দিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন।
পিছন থেকে নজমুল হোসেন একটি চাপাতি দিয়ে ওই নারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে মাথা ও ঘাড়ে গুরুত্বর জখম হয় এবং ডান হাতের শাহাদত আঙ্গুলটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনার পর স্থানীয়রা এসে নজমুলকে উত্তমমাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় তার মধ্যে কোন ধরনের অনুসোচনা দেখা যায়নি। মনে হচ্ছিল সবকিছুই স্বাভাবিক। নজমুল একজন মাদকসেবীও বলে জানা গেছে।
আটক নজমুল হোসেন বলেন, ওই নারীর স্বামী অনেক আগেই মারা গেছে। ২০১৭ সাল এক পর্যায়ে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। মাঝে-মধ্যে তার সঙ্গে দেখা সাক্ষাত হতো। ওই নারী আমাকে কবিরাজী ঔষধ দিয়ে পাগলা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ঔষধে কাজ হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে আমার কাছ থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। আমাকে আর গুরুত্ব দিচ্ছে না। ক্ষোভের বসে বাড়ি থেকে চাপাতি নিয়ে এসে তাকে মেরে ফেলার জন্য কুপিয়েছি।
নওগাঁ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার পর স্থানীয়রা নজমুল হোসেনকে আটক করে রেখেছিল। সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই নারীর হাতের একটি আঙ্গুল কাটা পড়েছে। চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারীকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।