বিনোদন ডেস্ক:
ঢালিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দীর্ঘদিন অচেতন ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। এখন চিকিৎসকের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন এবং তার এমআরআই রিপোর্ট ভাল এসেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন ফারুকের ক্যারিয়ারের প্রথম নায়িকা কবরী। নিজের জুটি না ফেরার দেশে চলে গেলেও সেই খবর এখনও দেওয়া হয়নি ফারুককে। সেই সঙ্গে নায়ক ওয়াসিমের মৃত্যুর খবরও পাননি তিনি।
ফারুক ও কবরী অভিনীত ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা ‘সুজন সখী’। খান আতাউর রহমান পরিচালিত এই সিনেমায় সুজন-সখী চরিত্রে অভিনয় করে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ফারুক ও কবরী।
কবরীর সঙ্গে ফারুকের সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’, প্রমোদ কর পরিচালিত ‘সুজন সখী’, আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘সারেং বৌ’, প্রমোদ কার পরিচালিত ‘দিন যায় কথা থাকে’, নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘ তৃষ্ণা’, শেখ নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘আশা’, খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘আরশিনগর’।
সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান কথা বলেছেন নায়ক ফারুকের স্ত্রীর সঙ্গে। সে বিষয়ে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি প্রতিদিন একবার হলেও ফারুক ভাইয়ের খবর নেই। ভাবি জানিয়েছেন, ফারুক ভাই আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ। তার রিপোর্ট আলহামদুলিল্লাহ ভাল এসেছে। ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। বর্তমানে এতটুকুই আপডেট জেনেছি। ফারুক ভাইয়ের জন্য দোয়া চাচ্ছি, তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।’
কবরী ও ওয়াসিমের মৃত্যুর খবর এখনও ফারুককে জানানো হয়নি উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, ‘কবরী আপা ও ওয়াসিম ভাইয়ের মৃত্যুর খবর ফারুক ভাইকে জানানো হয়নি।’
অপরদিকে, ফারুকের সর্বশেষ অবস্থার তথ্য জানিয়েছেন তার ছেলে রোশান হোসেন পাঠান।
তিনি জানান, আগের চেয়ে তার বাবার অবস্থা ভালো। যদিও সেভাবে কথা বলতে পারছেন না, তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। বাবার সুস্থতার জন্য সবার কাছেও দোয়া চান ফারক-পুত্র।
প্রসঙ্গত, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত মাসে সিঙ্গাপুরে যান এমপি ফারুক। পরে পরীক্ষা করার পর তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ফারুক স্কুল জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৬ সালে তিনি ছয় দফা আন্দোলনে যোগ দেন এবং এ সময়ে তার নামে প্রায় ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ফারুক ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।