ধর্ষণ
———– শাহেদা আক্তার শিরিন
রাস্তা ছাড়েন প্লিজ, কই যাবেন মিস।
ঔষুধ আনতে ভাই, আজ তোরে চাই।
দোষটা কী আমার? তুই রসের খামার।
কইরেন না সর্বনাশ, এইটা আমার অভ্যাস!
অসুস্থ মা টা আমার বাসায়’ তাতে আমার কী আসে যায়?
মানুষ ডাকবো কিন্তু, এইখানে নেই কোন জীব জন্তু।
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দম, চুপ কথা বলবি কম।
ছেড়ে দে জানোয়ার, মিটাই আশা একবার।
নাইরে তোর মা বোন,চুপ কর করবো এখন খুন।
নরপিশাচ একটা তুই,আয় তোরে সর্বঙ্গ ছুঁই।
বাঁচাও বাঁচাও বাঁচাও আরো জোরে চেচাও।
অতঃপর জানোয়ারটা পৈশাচিক আনন্দ মেতে উঠে। অভুক্ত কুকুরের ন্যায় খাবলে খেতে থাকে মানুষের আপাদ মস্তিস্ক। একটা সময় পর কুকুরটা ক্লান্ত হয়ে পরে।তারপর অসহায় মানুষটা গোঙাতে গোঙাতে বলতে লাগলো।
একটু পানি যদি পাই,হারামজাদি পানি নাই।
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শ্বাস, কিছুক্ষণ পর হবি তুই লাশ।
জীবনটা দেন ভিক্ষা,পরে আমায় দিবি তুই শিক্ষা।
ভুলে যাবো ঘটনা সব,জানি হবে পরে কলরব।
কেউ জানবেনা কিছু, শুধু পুলিশ নিবে পিছু।
চুপ থাকবো আজীবন, ঘটাতে পারিস অঘটন।
শুধু ভিক্ষা চাচ্ছি প্রমান,এখন নিবো তোর জান।
এইভাবে শতো মা বোনের, প্রমান শেষ হচ্ছে রোজ।
ধর্ষক বেঁচে গিয়ে, অনেক মা বোন হয় নিখোঁজ।