Dhaka ১২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০
  • ১২৫ Time View

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যে খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে, তা আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় তা আজ অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা হলো।

এর আগে গতকাল সোমবার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার পাশাপাশি আরও দুটি সংশোধনী আনা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো যৌতুকের ঘটনায় মারধরের ক্ষেত্রে (ধারা ১১-এর গ) সাধারণ জখম হলে তা আপসযোগ্য হবে। এ ছাড়া এই আইনের চিলড্রেন অ্যাক্ট-১৯৭৪-এর (ধারা ২০-এর ৭) পরিবর্তে শিশু আইন ২০১৩ প্রতিস্থাপিত হবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধনের প্রস্তাব তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খসড়ার চূড়ান্ত নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

দেশে ধর্ষণজনিত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও শুধু ধর্ষণের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এবার এ শাস্তিকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড করা হলো।

সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় উঠে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব ওঠে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার এ আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচার হয়।

এ আইনের ৯ (১) ধারায় বলা আছে, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

আর ৯ (২) ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড করার সুপারিশ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি

Update Time : ০৭:৩৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যে খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে, তা আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় তা আজ অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা হলো।

এর আগে গতকাল সোমবার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার পাশাপাশি আরও দুটি সংশোধনী আনা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো যৌতুকের ঘটনায় মারধরের ক্ষেত্রে (ধারা ১১-এর গ) সাধারণ জখম হলে তা আপসযোগ্য হবে। এ ছাড়া এই আইনের চিলড্রেন অ্যাক্ট-১৯৭৪-এর (ধারা ২০-এর ৭) পরিবর্তে শিশু আইন ২০১৩ প্রতিস্থাপিত হবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধনের প্রস্তাব তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খসড়ার চূড়ান্ত নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

দেশে ধর্ষণজনিত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও শুধু ধর্ষণের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এবার এ শাস্তিকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড করা হলো।

সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় উঠে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব ওঠে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার এ আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচার হয়।

এ আইনের ৯ (১) ধারায় বলা আছে, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

আর ৯ (২) ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড করার সুপারিশ করা হয়েছে।