নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুই বছর পর করোনার বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনায় রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামাতে অংশ নিতে সকালে দলে দলে ছুটে যান মুসল্লীরা। জামাত শেষে কোলাকুলি আর কুশল বিনিময় করেন। করোনা সতর্কতায় রাষ্ট্রপতি ঈদ জামাতে অংশ নেননি। তবে ছিলেন প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশে বিদেশী মিশনের প্রতিনিধিরা।

আজ ঈদ, সেই খুশির বার্তা নিয়ে সাত কালেই কানায় কানায় ভরে ওঠে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। কেউ সন্তানের হাত ধরে, আবার কেউ বৃদ্ধ পিতাকে সাথে নিয়ে হাজির হয়েছেন ঈদগাহে। শ্রেনী আর বৈষম্যের ভোদাভেদ ভুলে সবাই আজ এক কাতারে। ঘড়ির কাটা সাড়ে আটটার ঘর ছুতেই মোয়াজ্জিনের কন্ঠে ঈদ জামায়াতে সামিল হওয়ার আহবান। কাধে কাধ রেখে, নতুন পোশাকে সমান্তরালে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লীরা।

বায়তুল মোক্কারম মসজিদের খতিব মাওলানা রুহুল আমীন সুপ্রিম কোর্টের খোলা মাঠে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন। করোনা মহামারির সতর্কতায় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ জামাতে অংশ না নিলেও মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ মিশনে মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ঈদ জামায়াতে অংশ নেন।

এক মাস সিয়াম সাধনার পর জীবনের গুনাহ মাফ চেয়ে, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি এবং শংকামুক্ত বিশ্ব কামনায় নামাজ শেষে মোনাজাত করা হয়। দীর্ঘ দুই বছর পর করোনার বাধা পেরিয়ে ঈদ ফিরেছে আপন রুপে। তাই ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলিতে ভ্রাতৃত্বের আবেশ ছড়িয়ে পড়ে জাতীয় ঈদগাহে।

দলমত ভেদাভেদ ভুলে দেশকে আরো এগিয়ে নেয়ার প্রার্থণা ছিলো ঈদ জামাতে অংশ নেয়া মানুষের। নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য ছিলো আলাদা ব্যবস্থা। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় এবং শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় পৌনে এগারোটায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুসল্লীরা ঈদ জামাতে অংশ নেন।

বায়তুল মোকাররমসহ জাতীয় ঈদগাহের ঈদের নামাজ নির্বিঘ্ন করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়। ছিলো গোয়েন্দা নজরদারিও। প্রধান জামাত শেষে বৃষ্টি শুরু হয় রাজধানীজুড়ে। জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত, শংকামুক্ত বিশ্বের প্রার্থনা।

একইভাবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনায় সারাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। সারাদেশের মুসলিমগন দুই বছর পর এমন উৎসব মূখর পরিবেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পেরে সবাই খুশি যদিও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাত থেকে গুড়িগুড়ি কোথাও কোথাও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তারপরও মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনার কোন কমতি ছিল না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে