প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আজ বিশাল সমাবেশ করেছে প্রচারণায় এগিয়ে থাকা বৃহত্তম দুটি রাজনৈতিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা। আগামী মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সামরিক শাসন জারির বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্তের ফলে যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতেই এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় অভিসংশনের মুখে পড়েন ইওল এবং পদ ছাড়তে বাধ্য হন। খবর এএফপির।
এবারের নির্বাচনি প্রচারণা শেষে লিবারেল পার্টির নেতা লি জায়ে-মায়োং এগিয়ে আছেন সবদিক থেকে। বেশ কয়েকটি নির্বাচনি জরিপে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ভোটের দৌড়ে এগিয়ে আছেন তিনি। সম্প্রতি গ্যালপ জরিপেও দেখা গেছে, ৪৯ শতাংশ সাড়া প্রদানকারী বলেছেন, তাদের দৃষ্টিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী লি।
পদচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের দল পিপল পাওয়ার পার্টি থেকে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন কিম মুন-সু। তিনি জরিপে ৩৫ শতাংশ মানুষের ভোট পেয়ে লির পেছনে রয়েছেন।
এদিকে, দুই দল থেকেই সংগঠকরা জানিয়েছেন আজ শনিবারের আলাদা নির্বাচনি সমাবেশে তাদের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি সমর্থক অংশ নিয়েছেন।
সিউলের দক্ষিণে সিওচো এলাকায় লি জায়ে-মায়োংয়ের সমর্থকরা ইওলের ‘বিদ্রোহের’ নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে বিভিন্ন রকম ব্যানার-পোস্টার নিয়ে আসে। এ বিষয়ে লির একজন সমর্থক বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল কী হতে পারে তা ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে। আমি এই সমাবেশে এসেছিলাম দেশে সামরিক শাসন জারির চেষ্টার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান জানাতে।’
শনিবারের সমাবেশে যোগ দেওয়া লির আরেক সমর্থক জানান, জুনের ৩ তারিখের নির্বাচনে লির জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, রাজধানী সিউলের আরেক প্রান্তে গুয়াংহুয়ামুন স্কয়ারে ইউন সুক ইওলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত রক্ষণশীলরা ‘ইওল আবার’, ‘আগাম ভোট অর্থহীন’ লেখা বিভিন্ন প্লেকার্ড বহন করে।
এই নির্বাচনে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আগাম দিয়েছেন প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভোটার। দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচন কমিশন এই তথ্য দিয়েছে।