Dhaka ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারালো নিউজিল্যান্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১
  • ৯২ Time View

সিরিজে সমতা ফিরতে আশা জাগানিয়া ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে করেছিল ২৭১ রান। হ্যাগলি ওভালের মাঠে এত রান তাড়া করে জেতার নজির ছিল না আগে। অথচ বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেই অসাধ্য সাধনটাই করলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ তে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।

এমন হারে বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের দায় কম নয় মোটেও। বিশেষ করে ৫৩ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জয়ের ভিত গড়ে দেয় কনওয়ে ও ল্যাথামের ১১৩ রানের জুটি। তাতে অবশ্য বড় অবদান ছিল তাসকিনের! কনওয়েকে রান আউটের সূবর্ণ সুযোগ পেয়েও সেটি হাতছাড়া করেছেন। শেষ পর্যন্ত তামিমের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে জুটি ভাঙে তাদের। ৭২ রানে ফেরেন কনওয়ে।

তাতে ম্যাচে ফেরার পরিস্থিতিও তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হায়! এমন পরিস্থিতিতে চিরচেনা বাজে ফিল্ডিং ডুবিয়েছে তাদের। ম্যাচের ৩৭ ও ৩৮তম ওভারে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছে ফিল্ডাররা। শুরুটা হয় উইকেটকিপার মুশফিককে দিয়ে। তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে নিশামের ক্যাচ ছাড়েন মুশফিক। এক বল পরই ল্যাথাম তাসকিনের বলে কভারে ক্যাচ তুলেছিলেন। তুলনামূলক কঠিন ক্যাচ হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসব ক্যাচ হরহামেশাই হয়ে যায়। মিঠুন জমাতে পারেননি বল। পরের ওভারে মেহেদী হাসান নিজের বোলিংয়ে ফিরতি ক্যাচ ফেলে দেন ল্যাথামের। লোপ্পা এই ক্যাচ মিসে ম্যাচটাই যে হাতছাড়া করে ফেলে বাংলাদেশ!

পরে নিশামের সঙ্গে জুটি গড়ে ম্যাচ বের করে নেন ল্যাথাম। নিশামকে ৩০ রানে বিদায় দিয়েও ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেননি মোস্তাফিজ। পঞ্চম সেঞ্চুরি ‍তুলে নিয়ে ঠিকই ম্যাচ বের করে নেন কিউইদের অধিনায়ক। ৫ উইকেট হারানো কিউইদের জয় নিশ্চিত হয় ৪৮.২ ওভারে।

অথচ দ্বিতীয় এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় ছিল বাংলাদেশের। টস হেরেও টপ অর্ডারের অবদানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২৭১ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।

বরাবরের মতো এই ম্যাচেও টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। শুরুতে লিটন দাস ফিরলেও পরে তামিম ইকবালের ৭৮ ও মিঠুনের অপরাজিত ৭৩ রানেই বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচে অসাধারণ বল করা বোল্ট অবশ্য এদিন ছিলেন নিষ্প্রভ। ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি। সম সংখ্যক উইকেট নিয়েছেন ম্যাট হেনরি ও কাইল জেমিসনও। দুটি নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর ও মেহেদী হাসান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারালো নিউজিল্যান্ড

Update Time : ১০:০৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১

সিরিজে সমতা ফিরতে আশা জাগানিয়া ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে করেছিল ২৭১ রান। হ্যাগলি ওভালের মাঠে এত রান তাড়া করে জেতার নজির ছিল না আগে। অথচ বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেই অসাধ্য সাধনটাই করলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ তে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।

এমন হারে বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের দায় কম নয় মোটেও। বিশেষ করে ৫৩ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জয়ের ভিত গড়ে দেয় কনওয়ে ও ল্যাথামের ১১৩ রানের জুটি। তাতে অবশ্য বড় অবদান ছিল তাসকিনের! কনওয়েকে রান আউটের সূবর্ণ সুযোগ পেয়েও সেটি হাতছাড়া করেছেন। শেষ পর্যন্ত তামিমের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে জুটি ভাঙে তাদের। ৭২ রানে ফেরেন কনওয়ে।

তাতে ম্যাচে ফেরার পরিস্থিতিও তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হায়! এমন পরিস্থিতিতে চিরচেনা বাজে ফিল্ডিং ডুবিয়েছে তাদের। ম্যাচের ৩৭ ও ৩৮তম ওভারে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছে ফিল্ডাররা। শুরুটা হয় উইকেটকিপার মুশফিককে দিয়ে। তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে নিশামের ক্যাচ ছাড়েন মুশফিক। এক বল পরই ল্যাথাম তাসকিনের বলে কভারে ক্যাচ তুলেছিলেন। তুলনামূলক কঠিন ক্যাচ হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসব ক্যাচ হরহামেশাই হয়ে যায়। মিঠুন জমাতে পারেননি বল। পরের ওভারে মেহেদী হাসান নিজের বোলিংয়ে ফিরতি ক্যাচ ফেলে দেন ল্যাথামের। লোপ্পা এই ক্যাচ মিসে ম্যাচটাই যে হাতছাড়া করে ফেলে বাংলাদেশ!

পরে নিশামের সঙ্গে জুটি গড়ে ম্যাচ বের করে নেন ল্যাথাম। নিশামকে ৩০ রানে বিদায় দিয়েও ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেননি মোস্তাফিজ। পঞ্চম সেঞ্চুরি ‍তুলে নিয়ে ঠিকই ম্যাচ বের করে নেন কিউইদের অধিনায়ক। ৫ উইকেট হারানো কিউইদের জয় নিশ্চিত হয় ৪৮.২ ওভারে।

অথচ দ্বিতীয় এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় ছিল বাংলাদেশের। টস হেরেও টপ অর্ডারের অবদানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২৭১ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।

বরাবরের মতো এই ম্যাচেও টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। শুরুতে লিটন দাস ফিরলেও পরে তামিম ইকবালের ৭৮ ও মিঠুনের অপরাজিত ৭৩ রানেই বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচে অসাধারণ বল করা বোল্ট অবশ্য এদিন ছিলেন নিষ্প্রভ। ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি। সম সংখ্যক উইকেট নিয়েছেন ম্যাট হেনরি ও কাইল জেমিসনও। দুটি নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর ও মেহেদী হাসান।