Dhaka ০৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক খান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ১২৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দ্বিতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক খান। কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী শন বেইলিকে হারিয়েছেন তিনি।

লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, আর বেইলি ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। এ খবর বিবিসি’র।

শনিবার (৮ মে) ফল ঘোষণার পর সাদিক খান বলেন, ‘আমি সবসময়ই লন্ডনবাসীর মেয়র হয়ে থাকব, নগরীর প্রত্যেকটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।’

ভোটের প্রথম দফায় কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। তাই দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ হয়। তাতে মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট বাড়াতে পেরেছেন বেইলি। গ্রিন পার্টির প্রার্থী সিয়ান বেরি তৃতীয় অবস্থানে এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের লুইসা পোরিট চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। পাঁচ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় লুইসার জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

সাদিক খানকে অভিনন্দন জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী বেইলি বলেন, ‘পুনর্নির্বাচিত মেয়র সবকিছুর জন্য সরকারের ওপর দোষারোপ থেকে বিরত থাকবেন বলে তার আশা।’

সাদিক খান ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাজধানীর প্রথম মুসলিম মেয়রও তিনি। তবে ৫১ বছরের এই মেয়র প্রথমবারের রেকর্ড সংখ্যক ভোটের সংখ্যা এবার ছুঁতে না পারলেও ২২ লাখ ৮০ হাজার ভোটে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন।

নির্বাচনের প্রচারের শুরু থেকেই সাদিক খান সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে উঠে আসেন। কয়েকটি জরিপে এমন পূর্বাভাসও দেওয়া হয় যে, প্রথম দফার ভোটেই তিনি অর্ধেকের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারেন।

মহামারীর এই দুর্যোগ কাটিয়ে অর্থনীতিকে আরও মজবুত করে আরও ঐক্যবদ্ধ শহর ও দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সাদিক খান। তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিটের ক্ষত এখনও নিরাময় করতে পারেনি। একটি অপরিশোধিত সংস্কৃতি যুদ্ধ আমাদের আরও দূরে ঠেলে দিচ্ছে।’

এই বিজয়ের মাধ্যমে রাজধানী লন্ডনে নিজেদের অধিপত্য ধরে রেখেছে লেবার পার্টি, লন্ডন অ্যাসেম্বলিতেও তারা সবচেয়ে বড় দল হিসেবে জায়গা ধরে রেখেছে।

১৯৭০ সালে দক্ষিণ লন্ডনে সাদিক খানের জন্ম। তবে তার পিতা একজন পাকিস্তানি। সাউথ লন্ডনের টুটিং এলাকায় বেড়ে উঠেন সাদিক। তিনি ১২ বছর টুটিংয়ে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে এই এলাকা থেকে লেবার পার্টির এমপি নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায় মিনিস্টার অব স্টেট ফর কমিউনিটিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাদিক খান। পরবর্তী সময়ে তিনি পরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সাদিয়া একজন আইনজীবী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

দ্বিতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক খান

Update Time : ০৪:৪৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দ্বিতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক খান। কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী শন বেইলিকে হারিয়েছেন তিনি।

লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, আর বেইলি ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। এ খবর বিবিসি’র।

শনিবার (৮ মে) ফল ঘোষণার পর সাদিক খান বলেন, ‘আমি সবসময়ই লন্ডনবাসীর মেয়র হয়ে থাকব, নগরীর প্রত্যেকটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।’

ভোটের প্রথম দফায় কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। তাই দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ হয়। তাতে মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট বাড়াতে পেরেছেন বেইলি। গ্রিন পার্টির প্রার্থী সিয়ান বেরি তৃতীয় অবস্থানে এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের লুইসা পোরিট চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। পাঁচ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় লুইসার জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

সাদিক খানকে অভিনন্দন জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী বেইলি বলেন, ‘পুনর্নির্বাচিত মেয়র সবকিছুর জন্য সরকারের ওপর দোষারোপ থেকে বিরত থাকবেন বলে তার আশা।’

সাদিক খান ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাজধানীর প্রথম মুসলিম মেয়রও তিনি। তবে ৫১ বছরের এই মেয়র প্রথমবারের রেকর্ড সংখ্যক ভোটের সংখ্যা এবার ছুঁতে না পারলেও ২২ লাখ ৮০ হাজার ভোটে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন।

নির্বাচনের প্রচারের শুরু থেকেই সাদিক খান সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে উঠে আসেন। কয়েকটি জরিপে এমন পূর্বাভাসও দেওয়া হয় যে, প্রথম দফার ভোটেই তিনি অর্ধেকের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারেন।

মহামারীর এই দুর্যোগ কাটিয়ে অর্থনীতিকে আরও মজবুত করে আরও ঐক্যবদ্ধ শহর ও দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সাদিক খান। তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিটের ক্ষত এখনও নিরাময় করতে পারেনি। একটি অপরিশোধিত সংস্কৃতি যুদ্ধ আমাদের আরও দূরে ঠেলে দিচ্ছে।’

এই বিজয়ের মাধ্যমে রাজধানী লন্ডনে নিজেদের অধিপত্য ধরে রেখেছে লেবার পার্টি, লন্ডন অ্যাসেম্বলিতেও তারা সবচেয়ে বড় দল হিসেবে জায়গা ধরে রেখেছে।

১৯৭০ সালে দক্ষিণ লন্ডনে সাদিক খানের জন্ম। তবে তার পিতা একজন পাকিস্তানি। সাউথ লন্ডনের টুটিং এলাকায় বেড়ে উঠেন সাদিক। তিনি ১২ বছর টুটিংয়ে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে এই এলাকা থেকে লেবার পার্টির এমপি নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায় মিনিস্টার অব স্টেট ফর কমিউনিটিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাদিক খান। পরবর্তী সময়ে তিনি পরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সাদিয়া একজন আইনজীবী।