পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থলবন্দরে আটকে থাকা দেড় হাজার টন পেঁয়াজ নিয়ে ট্রাকগুলো ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ঢুকেছে। কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) শামসুল আরিফ তথ্য দিয়ে বলেছেন বাংলাদেশে ঢোকা পেঁয়াজের মোট পরিমান হবে প্রায় দেড় হাজার টন।

শামসুল আরিফ জানান, শনিবার যে সব পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছে সেগুলো সোমবারের জারিকৃত সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। ট্রাকগুলো গত ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স (অনলাইন) সম্পন্ন হওয়ার পরেও বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় ছিল কারণ বিভিন্ন বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা ট্রাকগুলোকে অযথা আটকে রাখেন।

পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, আমদানি ও রফতানি সংস্থাগুলোর পক্ষে কলকাতা উপ-হাইকমিশন ১৩ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বন্দরে আপেক্ষমান প্রায় ২০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢোকার আনুমোদন জারির জন্য লিখিত ভাবে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের ডাইরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড-কে জানান। ফরেন ট্রেড থেকে শুধুমাত্র ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর তারিখ পর্যন্ত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স স¤পন্ন হওয়া পেঁয়াজের চালানগুলো ছেড়ে দেয়ার জন্য শুক্রবার বিকেলে একটি আনুমতিপত্র জারী করে ।

তারই ভিত্তিতে শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে ৫০টি পেঁয়াজের ট্রাক বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই সব ট্রাকে আনুমানিক পেঁয়াজের পরিমান ছিল প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন, এমনটাই জানিয়েছেন শামসুল আরিফ।

পেট্রাপোলের ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিং সমিতির সাধারণ স¤পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বাসসকে জানান, আজ যে ৫০টি ট্রাক প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে, সেগুলো ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না।

এদিকে, বর্তমানে বিভিন্ন বন্দরে এখনও রফতানির জন্য সাড়ে ৫শ’ ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে সেগুলোর ব্যাপারে আজ রাতেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের ফেডারেশন অব ট্রেড-র পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সুমন কুমার মুখোপাধ্যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে