দীর্ঘ পাঁচ মাস পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
সাকিবের দেশে আসার দিন-ক্ষণ নিয়ে বেশ ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল। এর আগে তার ৩১ আগস্ট দেশে ফেরার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় অনুযায়ী না ফেরায় অনেকটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। অনেকে মনে করছেন গোপনীয়তা রক্ষা করতেই সাকিব দেশে ফেরার সময় পরিবর্তন করেছেন।
গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন সাকিব। সেখানেই গত এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের বাবা হন তিনি। পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে যুক্তরাষ্ট্রেই রেখেই সাকিব একা দেশে ফিরেছেন।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার মাঠের ফেরার লক্ষ্য নিয়েই এবার দেশে ফিরেছেন সাকিব। ৫ তারিখ অনুশীলনের জন্য বিকেএসপিতে যাওয়ার কথা তার। তবে অনুশীলনের আগে সাকিবের করোনা পরীক্ষা করা হবে। ফল না পাওয়া পর্যন্ত নিজের বাসাতেই অবস্থান করতে হবে তাকে।
টেস্টের ফল ভাল আসলেই বিকেএসপিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করতে পারবেন সাকিব। যদিও নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাকিব বিসিবির কোনো সুবিধা নিতে পারবেন না। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে ২৮ অক্টোবর। অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর থেকেই সাকিব আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।
করোনার দীর্ঘ বিরতির পর শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টটি খেলতে বাংলাদেশ দল মাঠে নামবে আগামী ২৪ অক্টোবর। আর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে ২৯ অক্টোবর। সেই হিসাবে প্রথম টেস্টে সাকিবের স্থান পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট থেকে টাইগার একাদশে সাকিবের নাম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিসিবিও সে রকমই ভাবছে।
তাই বলা যায়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ দিয়েই আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যবর্তন হতে যাচ্ছে সাকিবের।