নিজস্ব সংবাদদাতা:
দেশের ৯ জেলায় বজ্রপাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরমধ্যে নরসিংদীতে এক নারীসহ চারজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ জন, পাবনায় ২জন, এবং নেত্রকোণা, শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জ, নওগাঁ, পটুয়াখালী ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একজন করে নিহত হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) বজ্রপাতে তারা মারা যান। নিহতের পর স্বজনদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে।
নরসিংদী:
নরসিংদীর নিহতরা হলেন- রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার (৪৫), নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২), মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে প্রবাস ফেরত রায়হান মিয়া (২৫) ও শিবপুরের সাধারচরের খোরশেদ মিয়ার ছেলে কৃষক খোকন মিয়া (৩০)।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির অদূরে পৌঁছামাত্র বজ্রপাতে মারা যান মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের রায়হান মিয়া। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করেন। দুই মাস আগে ছুটিতে দেশে আসেন কাতার প্রবাসী রায়হান মিয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক (৩২) ও উপজেলার মানিকপুরের বাসিন্দা মনু মিয়া (৪৫) নিহত হন। মারা যাওয়া দুজনের পরিচয় জানা গেলেও অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
পাবনা:
পাবনায় বজ্রপাতে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জেলায় আরও ১৪জন বজ্রপাতে আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচায় জানা যায়নি।
নওগাঁ:
রানীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ভবানিপুর গ্রামে ক্ষেত থেকে ভুট্টা ওঠানোর সময় বজ্রপাতে জামিল হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জামিল একই গ্রামের মৃত আজাদ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের মাঠে জামিল হোসেনসহ কয়েকজন ক্ষেত থেকে ভুট্টা ওঠানোর কাজ করছিলেন। আকাশে হঠাৎ মেঘ জমে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন জামিল। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। যুবকের পরিবার মরদেহ নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ:
দুপুরে ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুইন্দা খলাপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে কাজী জিল্লুর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। জিল্লুর ভৈরব পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত কাজী গোলাপ মিয়ার ছেলে। তিনি পৌর শহরের জগন্নাথপুর লক্ষ্মীপুর মাক্কু মোল্লা ফুড কারখানায় চাকরি করতেন। আহতবস্থায় তাকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর দশমিনায় ফসলের মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. আবদুর রব হাওলাদার (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক ওই গ্রামের আবদুল আলী হাওলাদারের ছেলে।
এছাড়া নেত্রকোণার মদনে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে জয়নাল আবেদীন নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শরীয়তপুরের গোসাইর হাট উপজেলার কোদালপুরে বজ্রপাতে মাইনউদ্দিন (৩৮) নামে একজন মারা গেছেন। একইদিন সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে একজন নিহত হন।