আওয়ামী লীগের নাম যুক্ত করে দেশব্যাপী গড়ে উঠেছে শত শত ভুঁইফোড় সংগঠন। অনুমোদনহীন এসব সংগঠন শুধু দলের নাম ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি। অবৈধ সুবিধা নেয়ার অভিযোগও আছে এদের বিরুদ্ধে। নামের পাশে লীগ কিংবা বঙ্গবন্ধু শব্দ ব্যবহার করা সংগঠনের বিষয়ে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি রয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। এসব ভুয়া সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন নেতারা।
জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতীম সংগঠন রয়েছে ৮টি। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে দলটি। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা দলটির সুনাম ব্যবহার করছে অনেক নাম সর্বস্ব সংগঠন। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে ভুঁইফোড় সংগঠনগুলো। এদের কোন অনুমোদন নেই।
অভিযোগ আছে, এসব নাম সর্বস্ব সংগঠন চাঁদাবাজিসহ অবৈধ সুবিধা আদায়ে তৎপর। কিছু সংগঠনের দাবি কেন্দ্রীয় অনুমোদন আছে তাদের।
দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে, অগোচরেই এসব অবৈধ সুবিধাভোগী সংগঠনের জন্ম বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে যেসব অনুমোদিত সংগঠন আমাদের আছে, এর বাহিরে যেসব ভূঁইফোড় সংগঠন আছে এগুলোর সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। প্রশাসনকে এর আগে এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দলের নীতি নির্ধারণী বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এসব অনুমোদনহীন সংগঠন। তাই ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদও। এ ব্যাপারে দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কারা কারা সহযোগী সংগঠন তারা গঠনতন্ত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। কাজেই গঠনতন্ত্রের বাহিরে যে সংগঠনগুলো আছে এদের আলালা উদ্দেশ্যে আছে। এসব মতলববাজ সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’