মন্ত্রীসভা আজ দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতের বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ার বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘দেওয়ানি আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই সভায় যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোরুল ইসলাম সভা থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, সংশোধনী অনুযায়ী দেওয়ানি আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে দেওয়ানি আদালতের একজন সহকারী বিচারকের জন্য আর্থিক এখতিয়ারের উচ্চসীমা বিদ্যমান ২ লাখ টাকার পরিবর্তে ১৫ লাখ টাকা এবং সিনিয়ার সহকারী বিচারকের জন্য ৪ লাখ টাকার পরিবতে ২৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেওয়ানি মামলার আপিল শুনানি করার ক্ষেত্রে জেলা জজের জন্য বিদ্যমান পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে আর্থিক এখতিয়ার পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে।
প্রস্তাাবিত আইনটি পাস হলে একজন সহকারী বিচারক সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা মূল্যমানের সম্পত্তির দেওয়ানি মামলার বিচার করতে পারবেন এবং একজন সিনিয়র সহকারী বিচারক সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের সম্পত্তির মামলার বিচার করতে পারবেন।
এছাড়া সর্বাধিক ৫০ কোটি টাকার দেওয়ানি মামলাতে যৌথ জেলা জজদের দেওয়া ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মুলতবি থাকা আপিলগুলো জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের একটি ধারাও প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানান তিনি।
মন্ত্রিসভা পিরোজপুর জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি বিলেও নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত ভার্সিটি বিদ্যমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলেই হবে। রাষ্ট্রপতি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হবেন।
এছাড়া, মন্ত্রিসভা দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিসভা বঙ্গোপসাগরে একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে ট্রলার সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে ২৯ জুলাই, ২০১৩-তে গৃহীত আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।