ক্রীড়া ডেস্ক :

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা পেল ক্রিকেটবিশ্ব। প্রথমটি বাছাই পর্বে হলেও দ্বিতীয়টি এল শনিবার (৩০ অক্টোবর) শারজায় শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে।

তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এদিন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেও দলকে শেষ পর্যন্ত হাসাতে পারলেন না লঙ্কান লেগস্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবমিলিয়ে তৃতীয় হ্যাটট্রিক এটি। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ২৩তম। নিজের কোটা চার ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ওই তিনটি উইকেট নিয়ে শেষ দিকে ম্যাচ জমিয়ে দেন হাসারাঙ্গা। যাতে শেষ ওভারে ১৫ রানের প্রয়োজন পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু সেই রান ডিফেন্ড করতে পারলেন না লাহিরু কুমারা।

কিলার খ্যাত ডেভিড মিলারের কাছেই মূলত হার মানেন লঙ্কান এই পেসার। প্রথম বলে রাবাদা সিঙ্গেল নিয়ে মিলারকে স্ট্রাইক দিলে পাঁচ বলে ১৪ রান দরকার পড়ে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা প্রোটিয়াদের। কিন্তু কুমারার টানা দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলের সেই চাপ মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে জয়ের হাসিটাও উপহার দেন মিলার।

অবশ্য পরের বলে সিঙ্গেল নিলে জয়সূচক চারের শটটি আসে ৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকা রাবাদার ব্যাট থেকেই। অন্যপ্রান্তে তখন জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত কিলার মিলার। প্রয়োজনের মুহূর্তে জ্বলে ওঠা এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে মূল্যবান ২৩টি রান।

এছাড়া দলটির পক্ষে এদিন সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন টেম্বা বাভুমা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া অধিনায়কের রান পিছু সমান সংখ্যক বলের ইনিংসে ছিল একটি করে চার-ছয়ের মার। লঙ্কানদের পক্ষে হ্যাটট্রিকম্যান হাসারাঙ্গা ছাড়াও ২টি উইকেট লাভ করেন চার ওভারে ২৭ রান দেয়া দুশমন্থা চামীরা।

এর আগে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্যে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৪৩ টার্গেট দেয় শ্রীলঙ্কা। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এ ম্যাচে টস জিতে বোলিং নিয়ে লঙ্কান ব্যাটারদের রীতিমত চেপে ধরে প্রোটিয়া বোলাররা। যাতে নির্ধারিত ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানই তুলতে পারে শানাকার দল।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রান আসে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাট থেকে। তাঁর ৫৮ বলের এই ইনিংসে ছিল ছয়টি চারের সঙ্গে তিনটি চারের মার। এছাড়া চারিথ আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১টি রান। প্রোটয়া বোলারদের তোপের মুখে অন্যরা সবাই ছিলেন রীতিমত ব্যর্থ।

দলের হয়ে এদিন ৩টি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন ম্যাচ সেরা তাবরাইজ শামসি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। দুজনে রানও দেন সমান ১৭টি করে। এছাড়া ২৭ রানে ২টি উইকেট নেন এনরিক নরকিয়া। বাকি দুটি হয় রান আউট।

এদিকে, এই জয়ে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-এক থেকে রাতে খেলতে নামা ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার পরেই অবস্থান নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে, তিন ম্যাচে দুই হারে গ্রুপ তলানিতে থাকা বাংলাদেশ-উইন্ডিজের উপরেই আছে শ্রীলঙ্কা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে