Dhaka ০৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুপচাঁচিয়া অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১,অবমুক্ত হলো ৩১৪টি পাখি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২
  • ৩৬ Time View

মোঃ মাসুদ রানা( দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধিঃ):

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের অভিযোগে আতোয়ার আলী সাকিদার(৫২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম সেবা এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফের তত্বাবধানে বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহের নেতৃত্বে গত ১আগস্ট সোমবার রাত পৌনে ৯টায় ডিবির একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আতোয়ার উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিন সাকিদারের ছেলে। আতোয়ার আলীকে বন্যপ্রানি সংরক্ষন আইনে দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন জিহাদী তার ভ্রাম‍্যমান আদালতে ৬মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। সেই সঙ্গে জব্দকৃত ৩১৪টি পাখি মুক্ত পরিবেশে আকাশে অবমুক্ত করা হয়।

এব্যাপারে ২আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানা চত্বরে বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম সেবা এক প্রেস ব্রিফিং করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, উক্ত আতোয়ার দীর্ঘ ৯-১০বছর যাবত অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকা হতে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণি আটক করে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।
ঘটনারদিন রাতে আতোয়ারের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত বন্যপাখি ফুলমাথা টিয়া(ব্লোসম হেডেড প্যারাকিট) ১৪০টি, লালমাথা টিয়া(পাম হেডেড প্যারাকিট) ৪০টি, তিলা মুনিয়া পাখি ৫০টি এবং দেশী চাদী ঠোঁট মুনিয়া ৮৪টি সহ মোট ৩১৪টি পাখি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন ধুকপুকুর সীমান্তবর্তী এলাকা হতে আতোয়ার নিজে সংগ্রহ করে বিক্রয়ের জন্য নিজ বাড়িতে সংরক্ষন করে রেখেছিলেন।

আতোয়ার আরও জানান এই মৌসুমে নানা প্রজাতির পাখি ভারত থেকে খাদ্য আহরনের জন্য বাংলাদেশে আসলে তিনি নানা রকম কৌশলে প্রতি বছরই প্রচুর হিরামন টিয়া ও মুনিয়া পাখি সহ অন্যান্য পাখি ধরে নিয়ে এসে সংরক্ষন করে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে বন্যপাখি কেনাবেচা ও সংরক্ষন বন্যপ্রাণি(সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

এসব পাখি যেন বিলুপ্ত না হয় সে লক্ষ্যে বগুড়া জেলা পুলিশ এই ধরনের অভিযান চলমান রাখবে এবং বন্যপাখি ক্রয়বিক্রয় ও সংরক্ষণ বন্ধের জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান। প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন জিহাদী, আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মেদ নিয়ামুর রহমান, বগুড়া জেলা ডিবির ইন্সপেক্টর সাইহান ওলিউল্লাহ, দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আব্দুর রশিদ সরকারসহ প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

দুপচাঁচিয়া অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১,অবমুক্ত হলো ৩১৪টি পাখি

Update Time : ০৭:৫১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

মোঃ মাসুদ রানা( দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধিঃ):

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের অভিযোগে আতোয়ার আলী সাকিদার(৫২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম সেবা এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফের তত্বাবধানে বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহের নেতৃত্বে গত ১আগস্ট সোমবার রাত পৌনে ৯টায় ডিবির একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আতোয়ার উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিন সাকিদারের ছেলে। আতোয়ার আলীকে বন্যপ্রানি সংরক্ষন আইনে দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন জিহাদী তার ভ্রাম‍্যমান আদালতে ৬মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। সেই সঙ্গে জব্দকৃত ৩১৪টি পাখি মুক্ত পরিবেশে আকাশে অবমুক্ত করা হয়।

এব্যাপারে ২আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানা চত্বরে বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম সেবা এক প্রেস ব্রিফিং করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, উক্ত আতোয়ার দীর্ঘ ৯-১০বছর যাবত অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকা হতে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণি আটক করে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।
ঘটনারদিন রাতে আতোয়ারের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত বন্যপাখি ফুলমাথা টিয়া(ব্লোসম হেডেড প্যারাকিট) ১৪০টি, লালমাথা টিয়া(পাম হেডেড প্যারাকিট) ৪০টি, তিলা মুনিয়া পাখি ৫০টি এবং দেশী চাদী ঠোঁট মুনিয়া ৮৪টি সহ মোট ৩১৪টি পাখি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন ধুকপুকুর সীমান্তবর্তী এলাকা হতে আতোয়ার নিজে সংগ্রহ করে বিক্রয়ের জন্য নিজ বাড়িতে সংরক্ষন করে রেখেছিলেন।

আতোয়ার আরও জানান এই মৌসুমে নানা প্রজাতির পাখি ভারত থেকে খাদ্য আহরনের জন্য বাংলাদেশে আসলে তিনি নানা রকম কৌশলে প্রতি বছরই প্রচুর হিরামন টিয়া ও মুনিয়া পাখি সহ অন্যান্য পাখি ধরে নিয়ে এসে সংরক্ষন করে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে বন্যপাখি কেনাবেচা ও সংরক্ষন বন্যপ্রাণি(সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

এসব পাখি যেন বিলুপ্ত না হয় সে লক্ষ্যে বগুড়া জেলা পুলিশ এই ধরনের অভিযান চলমান রাখবে এবং বন্যপাখি ক্রয়বিক্রয় ও সংরক্ষণ বন্ধের জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান। প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন জিহাদী, আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মেদ নিয়ামুর রহমান, বগুড়া জেলা ডিবির ইন্সপেক্টর সাইহান ওলিউল্লাহ, দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আব্দুর রশিদ সরকারসহ প্রমুখ।