হঠাৎ করেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইউরেশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে উভয়পক্ষের ৫৭ জনেরও বেশি নিহত এবং আরো শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আর্মেনিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ সোমবার আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং দুই জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো শতাধিক লোক।
অন্যদিকে, আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আর্মেনিয়ার বাহিনীর আক্রমণে তাদের অন্তত ৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আহত হয়েছেন ১৯ জন।
যে অঞ্চলটি নিয়ে সংঘর্ষ, সেই নাগরেনো-কারাবাখের কর্মকর্তারা জানান, আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর আক্রমণে তাদের আরো ১৫ সেনা নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। এ ছাড়া তারা কিছু ভূমিও দখল করেছে।
এদিকে, আজারবাইজান প্রথমে বিমান ও কামান দিয়ে হামলা শুরু করে বলে দাবি করেছে আর্মেনিয়া। সেটির জবাবে পরে সামরিকভাবে পাল্টা হামলা চালায় তারা। যদিও আজারবাইজান বলছে, আর্মেনিয়াই প্রথমে হামলা চালিয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরুর দিকে আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালায়। এতে ১২ আজারবাইজানীয় সেনা নিহত এবং আরো চার জন আহত হন। এর আগে ২০১৬ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ২০০ জনের বেশি নিহত হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সাবেক এই দেশ দুটির মধ্যে ১৯৯১ সাল থেকেই সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে, যখন আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনী উচ্চতর কারাবাখ বা নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল দখল করে। এটি আজারবাইজানের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি অঞ্চল ছিল।