সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের শুরুতে মিচেল স্টার্কের জোড়া ধাক্কার পরে জনি বেয়ারস্টোর শতকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। সঙ্গে ক্রিস ওকস ও স্যাম বিলিংসের অর্ধশতকে ইংলিশরা সংগ্রহ করেছে ৩০২ রান। অন্যদিকে আজও একাদশে সুযোগ পাননি অজি তারকা স্টিভ স্মিথ।
আজ বুধবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। টসের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল নাকি ভুল, তা ভাবার সময় পাওয়ার আগেই ব্যাট হাতে মাঠে নেমে পড়তে হয় অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে। কারণ প্রথম দুই বলেই যে দুটি উইকেট হারিয়ে বসেছে দল। প্রথম বলে জেসন রয়কে ফেরানোর পরে দ্বিতীয় বলে জো রুটকে সাজঘরে পাঠান স্টার্ক।
তৃতীয় উইকেটে দ্রুতই ৬৭ রান সংগ্রহ করেন মরগান ও বেয়ারস্টো। ২৩ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে স্টার্কের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক মরগান। এরপরই মাত্র ৮ রান করে সেই জাম্পার শিকার হয়ে অধিনায়ককে অনুসরণ করেন জস বাটলার। যাতে একশর আগেই (৯৬ রানে) ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ইংল্যান্ড।
তবে বিপর্জয়ের গল্প যেন ওখানেই শেষ! পঞ্চম উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন বেয়ারস্টো ও স্যাম বিলিংস। বিলিংস আউট হলে ভেঙে যায় তাদের ১১৪ রানের জুটি। মিচেল মার্শের তালুবন্দী হয়ে জাম্পার তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে স্যাম করেন ৫৮ বলে ৫৭ রান। বিলিংসের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কার মার।
বিলিংস সাজঘরের ফেরার পরে অবশ্য আর বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি বেয়ারস্টোও। ১০ রান পরেই বিদায় নেন শতক হাঁকানো এই ব্যাটসম্যান। কিছুটা ধীর গতিতে খেলে ১২৬ বলে ১১২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ১৪টি চার ও দুটি ছয়ের মারের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হয়ে।
পরে সপ্তম উইকেটে জুটি গড়েন ক্রিস ওকস ও টম কারান। এই দুইজনে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন। কারান ১৯ বলে ১৯ রান করে স্টার্কের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরলেও ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন ওকস। ৩৯ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
যাতে ৫০ ওভার শেষে ৩০২ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জাম্পা ৫১ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট ও ৭৪ রানের বিনিময়ে স্টার্ক তিনটি উইকেট শিকার করেন।