দীপিকাকে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ সারা আলি খান আর শ্রদ্ধা কপূরকে। কর্ণ জোহরের প্রযোজনা সংস্থার প্রাক্তন কর্মী ক্ষিতিজ রবি প্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার সূত্রে সঞ্জয় দত্ত কিংবা কৃষ্ণসার হত্যা বা গাড়ি চাপা দেওয়ার মামলায় সালমান খানকে নিয়ে হইচই কম হয়নি। কিন্তু এক সঙ্গে একই দিনে এত জনকে ঘিরে টানাটানি পড়েনি। কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় এক ঝাঁক তারকার নাম থাকলেও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে এভাবে ঝড় ওঠেনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।
দীপিকাকে প্রথমে শুক্রবার ডেকেছিল সেন্ট্রাল ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। দীপিকা এক দিন সময় চেয়ে নেন। স্বামী রণবীর সিংহ শুক্রবার বলেছিলেন, অনুমতি পেলে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে চান। তবে শনিবার সকাল দশটায় গাঢ় ছাইরঙা হুন্ডাইয়ে চড়ে দীপিকা অবশ্য একাই এলেন মুম্বাইয়ের কোলাবার ইভলিন গেস্ট হাউসে। সেখানেই অবস্থান করছেন এনসিবির কর্মকর্তারা। এবং সেই যে দীপিকা এলেন, বিকেল চারটের আগে ছাড়া পাননি। দুই দফায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে এনসিবি। দীপিকার প্রাক্তন ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে শুক্রবার সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এ দিনও তাঁকে ফের ডেকে পাঠানো হয়। দীপিকা এবং করিশ্মাকে কিছু সময় মুখোমুখিও বসানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে দীপিকা কি বলেছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিবি না জানালেও কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, দীপিকা বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু এ-ও দাবি করেছেন, তিনি নিজে মাদক নেননি এবং হোয়াটসঅ্যাপে ‘মাল হ্যায় ক্যা’ বলে তিনি যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন সেটা মাদক নিয়ে নয়। করিশ্মাও বলেছিলেন, দীপিকা স্বাস্থ্যসচেতন। তিনি মাদক সেবন করেন না।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে একযোগে কাজ করছে সিবিআই, ইডি এবং এনসিবি। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে মাদককাণ্ডের জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে। সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এসব জিজ্ঞাসাবাদ এবং মোবাইল ফোনের রেকর্ড থেকেই বলিউডের আরও নাম পেয়েছে এনসিবি। উঠে এসেছে ২০১৭ সালের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাটও। সেখানে উল্লিখিত ‘ডি’ আর ‘কে’র সূত্র ধরেই দীপিকা আর করিশ্মাকে তলব। দীপিকার ফোন আজ নিয়ে নেওয়া হয়। কোনও কোনও সূত্রের দাবি, দীপিকা কিছু ক্ষেত্রে জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন বা শেখানো কথা বলছেন বলে মনে হয়েছে এনসিবি’র। প্রয়োজনে তাঁকে ফের ডাকতে পারে তারা।
গতকাল শনিবার দুপুরে সারা এবং শ্রদ্ধার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। ব্যালার্ড এস্টেটে এনসিবি’র দফতরে। সারাকে চার ঘণ্টা এবং শ্রদ্ধাকে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে তারা দুই জনই দাবি করেছেন, তারা মাদক সেবন করেন না। কিন্তু শুটিংয়ে এবং অন্যত্র সুশান্তকে মাদক নিতে দেখেছেন।