লক্ষ্য ১৯৫ রানের। এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যেভাবে এগোনো দরকার ছিল, শুরু থেকেই তেমনটা পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। বরং ধীরগতিতে রান তোলার সঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারিয়েছে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে থাকা দলটি।
আবুধাবিতে একতরফা খেলেই তাদের হারিয়ে দিয়েছে চার নম্বরে অবস্থান করা কলকাতা নাইট রাইডার্স, ইয়ন মরগ্যানের দল ম্যাচটি জিতেছে ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে দিল্লি। মাঝে শ্রেয়াস আর রিশাভ পান্ত যা একটু রান পেয়েছেন। কিন্তু পান্ত ৩৩ বলে ২৭ আর আয়ার ৩৮ বলে ৪৭ রান করে যখন ফিরেছেন, তখন পরাজয় বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে দিল্লির।
৯৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দিল্লিকে টেনে নেয়ার মতো কেউ ছিলেন না। পরের ব্যাটসম্যানরা এগিয়েছে ধুঁকতে ধুঁকতে। শেষ পর্যন্ত পুরো ২০ ওভার খেলতে পারলেও ৯ উইকেটে ১৩৫ রানে থামে ক্যাপিটালসের ইনিংস।
দিল্লির এমন বিপর্যয়ে ঠেলে দেয়ার মূল হোতা কলকাতার লেগস্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ৪ ওভারে ১৭ রানে ৩টি উইকেট শিকার প্যাট কামিন্সের।
এর আগে নীতিশ রানা আর সুনিল নারিনের ব্যাটে বিপদ কাটিয়ে ৬ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় পুঁজি পায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। আবুধাবিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল দলটি।
শুভমান গিল (৯), রাহুল ত্রিপাথি (১৩) আর দিনেশ কার্তিক (৩) সাজঘরে ফেরেন দলীয় ৪২ রানের মধ্যে। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ১১৫ রানের বড় জুটি রানা-কার্তিকের। বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে ৩২ বলে ৬৪ রানে আউট হন নারিন, যে ইনিংসে ৬টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
তবে সঙ্গী হারিয়েও চালিয়ে গেছেন নীতিশ রানা। দলীয় ইনিংস এক বল বাকি থাকতে থামে তার ইনিংসটি। ৫৩ বলে গড়া রানার ৮১ রানের ইনিংসটিতে ছিল ১৩টি চার আর ১টি ছক্কার মার। তার ঠিক পরের বলেই (ইনিংসের শেষ বল) আউট হন মরগ্যান। ৯ বলে ১৭ রানের ছোট এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন কলকাতা অধিনায়ক।
দিল্লির পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন অ্যানরিচ নর্টজে, কাগিসো রাবাদা আর মার্কাস স্টয়নিস।