চিকিৎসদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বরাদ্দের প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। দেশটির সংসদের বাইরে তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। সম্প্রতি শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের বেতন কমিয়ে চিকিৎসক বৃদ্ধির জন্য বরাদ্দ দিয়েছে দেশটির সংসদ। চিকিৎসদের এ ধর্মঘটের ফলে কোভিড-১৯ মাহামারী দেশটিতে মথাচড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার। খবর রয়টার্স’র। 

দেশটির সরকার বলছে, আগামী দশ বছরে যে কোন মহামারী ঠেকাতে ৪ হাজার মেডিকেল শিক্ষার্থী বাড়ানো হচ্ছে। তবে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা বলছেন, এই অতিরিক্ত বরাদ্দ বর্তমান চিকিৎসকদের শহর ছেড়ে গ্রামে যাওয়াকে নিরুৎসাহিত করবে। সরকারের বরং নতুন বরাদ্দ বাদ দিয়ে চলমান চিকিৎসা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়োন বৃহস্পতিবারও চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার আহবান জানিয়েছেন। তিনি এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সংসদের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের সুবিধার জন্যই নেওয়া হয়েছে।’

রয়টার্স জানায়, অন্তত ১২ হাজার শিক্ষানবিশ চিকিৎসক দেশটির রাজধানী সিউলে সংসদের বাইরে নিরবে ধর্মঘট করে যাচ্ছেন। এ ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিচ্ছে কোরিয়ান শিক্ষানবিশ আবাসিক অ্যাসোসিয়েশন (কেআইআরএ)। ‘শিক্ষানবিশ/আবাসিকরা দাস নয়’, ‘শিক্ষানবিশ/আবাসিকরা দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষৎ’ এমন লেখা প্লাকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান করছে আন্দোলনকারীরা।

অন্যদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসায় আহ্বান জানিয়েছন অন্যথায় তাদের কোন দাবি আমলে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে