ক্রীড়া ডেস্ক:
ঢাকা টেস্টের বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৩ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা, হাতে রয়েছে ৫ উইকেট।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিন শেষে প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৮২ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৫৮ ও দিনেশ চান্ডিমাল অপরাজিত আছেন ১০ রানে।
দিনের শুরুতেই কাসুন রাজিথাকে ফেরান এবাদত হোসেন। তার অফ স্টাম্পে পড়া লেন্থ বল আঘাত হানে রাজিথার স্টাম্পে। ১২ বলে ০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশকে বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি।
আগের দিন শেষ বিকেলে কুশল মেন্ডিসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশকে স্বস্তিতে রেখে দিনশেষ করেছিলেন তিনি। আজও সকালটা রাঙালেন সাকিবই। রাজিথাকে ফেরালেও অস্বস্তি হয়ে ক্রিজে ছিলেন করুণারত্নে।
তাকে প্রথমে দুই বলে ‘সেট আপ’ করে নেন সাকিব। এরপরই করেন নিজের স্বপ্নের বলটি। রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে করুনারত্নকে ড্রাইভ খেলতে আমন্ত্রণ জানান সাকিব। করুনারত্নে সেটি খেললেও ব্যাট ও প্যাডের মাঝখানে ফাঁকা জায়গা থেকে যায়।
অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল টার্ন করে ওই জায়গা দিয়ে গিয়েই স্টাম্পে আঘাত হানে। ১৫৫ বলে ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান করুনারত্নে। কিন্তু এরপর বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই বাকিটা সময় পার করেন ধনঞ্জয়া ও ম্যাথিউস। লাঞ্চ বিরতির সময়ই আসে বৃষ্টি।
ওই বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর খেলা শুরু হতেই দারুণ বোলিং করেন সাকিব-এবাদত ও তাইজুল ইসলাম। খালেদ আহমেদ অবশ্য ঠিক লাইন-লেন্থ খুঁজে পাচ্ছেন না ম্যাচজুড়েই। দুর্দান্ত বোলিং করা সাকিব পেয়েছেন উইকেটও। ওই বলটিও ছিল দারুণ।
ডান-হাতি ধনঞ্জয়ার জন্য মাটিতে পড়ে টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল, ছিল অতিরিক্ত বাউন্সও। তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে চলে যায় বল। যদিও শুরুতে আউট দেননি আম্পায়াররা।
রিভিউ নেওয়ার ব্যাপারে খুব একটা নিশ্চিত ছিলেন না সাকিব। কিন্তু মুমিনুল রিভিউ নিয়ে সফল হন। পুরো বিকেলজুড়েই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এবাদতের বলে সুইং ছিল, বাউন্সেও পরাস্ত করেছিলেন ব্যাটারদের; কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি।
সাকিব সবসময়ই নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছেন। তবুও বিকেলে একটির বেশি উইকেট ফেলতে না পারার আফসোস নিয়েই দিনশেষ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।