সিংড়া(নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যশী সিরাজুল মজিদ মামুন বলেছেন আমি দলীয় মনোনয়নের জন্য আপনাদের মত তৃণমুল আওয়ামীগের কাছে এসেছি।
আপনারা চাইলে আমাকে সর্মথন দিয়ে উপজেলা আওয়ামীগের কাছ থেকে মনোনয়ন নিয়ে দিতে পারবেন। বুধবার রাতে ডাহিয়ার ঠেঙ্গাপাকুড়ীয়া গ্রামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত উঠান বেঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশী সিরাজুল মজিদ মামুন এই কথা গুলো বলেন। মামুন আরও বলেন,আমার বাড়িগাড়া বাড়ি হলেও সেই কিশোর বয়স থেকে সিংড়াতে থাকি। বর্তমান প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এড জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয় আমার বন্ধু। এক সাথে ছাত্র রাজনীতি করেছি। এখনও তাঁর নির্দেশনায় রাজনীতিতে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বন্ধুর সুবাধে আমার যদি প্রতিমন্ত্রীর কাছে মনোনয়ন নেওয়ার সেই ক্ষমতা থাকতো তাহলে আমি সিংড়া বসেই মনোনয়ন নিতাম। আপনাদের কাছে আসতাম না। অথবা টাকা দিয়ে যদি মনোনয় কেনা যেত তাহলেও মনোনয়ন কিনতাম। প্রতিমন্ত্রীর টাকা দিয়ে কোন মনোনয়ন বিক্রির ইতিহাস নাই। মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি বন্ধু আত্নীয় ও স্বজনপ্রীতিকে পাত্তা দেন না। তাই নিরুপায় হয়েই আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারাই মনোনয়নের বড় শক্তি।
ঠেঙ্গাপাকুড়ীয়া গ্রামের প্রবীণ আওয়ামীগ কর্মী মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিতে ও ৬ নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলমের উপস্থাপনায় এসময় বক্তব্য দেন,ডাহিয়া গ্রামের সন্তান ১নং ওর্য়াড আ’লীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আন্ডু,১নং ওর্য়াড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নওশের আলী, ২নং ওর্য়াড আ’লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, ৩নং ওর্য়াড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা,৪নং ওর্য়াড আ’লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম,৫নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হোসেন,চলনবিল সেবা উন্নয়ন সংঘের সভাপতি মোঃ আমির হামজা, ডাহিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মুক্তার হোসেন, ২নং ডাহিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল হোসেন রুবেল,গাড়া বাড়ি গ্রামের আওয়ামীলীগ কর্মী বাবুল হাসান,আয়েশ গ্রামের আ’লীগ কর্মী মোঃ শাহ আলম,ঠেঙ্গাপাকুড়ীয়া গ্রামের সন্তান সহকারী শিক্ষক মোঃ শামীম হোসেন,আব্দুল মান্নান,দুলাল,সাবেক সেনা সদস্য শাহ আলম.কবি নজরুল সহ আরও অনেকে।
৪নং ওর্য়াড আ’লীগের সভাপতি অবসর সেনা সদস্য সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ডাহিয়ার আ’লীগ নিয়ে আজ আলোচনা ও বিতর্কের ধারা তৈরী হয়েছে। আমি একজন আ’লীগ পরিবারের সন্তান এবং বর্তমান ৪নং ওর্য়াড আ’লীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। অথচ দলের গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্বে থাকা কথিত নেতা নাকি আমার মত আওয়ামীলীগকে চিনেন না। যে আ’লীগ চাঁদা তুলে বঙ্গবন্ধুর শোক দিবস পালন করেন,যে আ.লীগে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা আনার জন্য দিনের পর দিন রোজা রাখেন। সেই আ’লীগকে যারা চিনতে পারে না তারা কিসের নেতৃত্ব দেন। তারা ক্ষমতার অপব্যবহারে আজ অন্ধ হয়ে গেছে। তাই আ’লীগ চিনতে পারছেন না। এসব কারনেই আজ এই ইউনিয়নের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষ পরির্বতন চায়। ডাহিয়া ইউপি নির্বাচনে পরির্বতনের জোয়ার এসে গেছে।
রফিকুল ইসলাম আন্ডু তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের আগেই নির্বাচন করতে হবে। আমরা গণজোয়ারের মাধ্যমে মামুনের মনোনয়ন ছিনিয়ে আনবো।
বাবুল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন,নাটোরের রাজনীতি দিয়ে সিংড়ার মাটিতে কোন কাজ হবেনা। আমি র্দীঘ দিন ধরে সেই নাটোরের রাজনীতির ধারার সাথে ছিলাম। নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছি। তাই আমার মত কেউ ভুল করবেনা।
ডাহিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের শ্লোগান নেতা হিসাবে পরিচিত মুক্তার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন,ডাহিয়া ইউনিয়ন তৃণমুল আ’লীগ সহ সাধারণ মানুষ আজ মুক্তি চায়। পরির্বতন চায়। সেই পরির্বতনের জোয়ারে আমরা মামুনকে আগামীতে ডাহিয়ার চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই।