সানোয়ার আরিফ রাজশাহীঃ-
উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসের ফলে রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত।
এই শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষ,রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরেরা পড়েছে বিপাকে।এছাড়া শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত রোগে।
১৬ জানুয়ারি শনিবার ছিল মাঘ মাসের দ্বিতীয় দিন। পৌষের শেষে শীত কমলেও, মাঘ মাসে আবারো বেড়েছে শীতের প্রখর তীব্রতা। উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসের কাছে পরাজিত হচ্ছে সূর্যের প্রখরতা। ফলে জেঁকে বসা শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ ।
রাজশাহীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। উত্তরের এ জেলায় মৃদু সত্য প্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। শনিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ।এদিন বিকেলে বায়ুর আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ ।
তীব্র শীতের হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকালের সূর্যের দেখা মিলছে না, সকালের দিকে ঠান্ডা বাতাস আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হিমবায়ু বইতে শুরু করে যা সারাদিন ধরে চলতে থাকে। ফলে সূর্য উঠলেও শীতের দাপটে তার তেজ থাকে না ।
শীত বস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিনযাপন করছেন ছিন্নমূল মানুষগুলো, অনেকে খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। কাজের সন্ধানে সকালে ঘর থেকে বেরহওয়া মানুষগুলো ভোগান্তিতে পড়ছেন সবচেয়ে বেশি।বিপাকে পড়েছেন কৃষক ,ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া মানুষ ও রিকশাচালক।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে গত কয়েকদিন থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। রাজশাহীতে গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবারও রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ সেলসিয়াস ।
শীতের দাপটে খেটে খাওয়া মানুষ নিম্নআয়ের মানুষ চরম সংকটে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা চরম কষ্টে দিনযাপন করছেন। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই শীতজনিত অসুখ ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
হঠাৎ শীতের দাপট বাড়ায় কাবু হয়ে পড়েছে রাজশাহীর খেটে খাওয়া সাধারণ তীব্র শীতে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শীত জনিত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, পেট ব্যথা ,জন্ডিস ও সর্দি জ্বরে ভুগছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
এছাড়া তীব্র শীতের কারণে ফসলের মাঠ দেখা দিয়েছে বিপর্যয়ের আশঙ্কা। বীজতলায় দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি।
চলতি রবি মৌসুমে এ অঞ্চলের মাঠে রয়েছে আলু, গম, ভুট্টা ,সবজি ও বোরোর বীজতলা ।
বিশেষ করে মাঠে থাকা আলু ক্ষেতে লেট ব্লাইট ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।