নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের সব বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়াও আগামী তিনদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১০৯ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরে। আর সকালে দমকা হাওয়াসহ এক পশলা বৃষ্টি ঢাকার পরিবেশকে শান্ত করে দিয়েছে। এদিন দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখেনি রাজধানীর মানুষ।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজরুল রশীদ জানান, আগামী দুই থেকে তিন দিন এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে সিলেটের দিকে। এছাড়া মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ভারী বৃষ্টির সতর্কতা এবং নদী বন্দরে আমরা ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দিয়েছি।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ুু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।