Dhaka ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিউনিশিয়া উপকূলে দুটি যাত্রীবোঝায় নৌকা ডুবে ৩৯ জন অভিবাসীর মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
  • ৬৮ Time View

তিউনিশিয়া উপকূলে দুটি যাত্রীবোঝায় নৌকা ডুবে ৩৯ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকা দুটি ডুবে যায়। মৃতরা সবাই আফ্রিকান নাগরিক।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জেকরি বলেন, এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ১৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করলেও আরও অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে। এ জন্য সাগরের স্ফ্যাক্স উপকূলে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বাহিনীটির সদস্যরা। নিহত সকল অভিবাসী আফ্রিকান বলেই নিশ্চিত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত দুই মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করেছে প্রায় চার হাজার অভিবাসী। এর মধ্যে তিউনিশিয়া দিয়েই ঢুকেছে এক হাজার।

তিউনিশিয়ার বন্দর শহর স্ফ্যাক্সের নিকটবর্তী উপকূলরেখায় আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা এবং ইউরোপে আরও উন্নত জীবনের খোঁজে এটি একটি প্রধান প্রস্থানস্থানে পরিণত হয়েছে।

এর আগে ২০১২-তে, প্রতিবেশী লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পরে তাদের নৌকা তিউনিসিয়ার উপকূলে ডুবে গেলে প্রায় ৯০ জন আফ্রিকান অভিবাসী ডুবে যায়।

একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী বলেছে যে, তিউনিসিয়ায় অর্থনৈতিক সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এরই জেরে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইতালির তীরে তিউনিসিয়ান অভিবাসীদের সংখ্যা পাঁচগুণ বেড়ে ১৩ হাজারে পৌঁছেছে।

সূত্র রয়টার্স

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

তিউনিশিয়া উপকূলে দুটি যাত্রীবোঝায় নৌকা ডুবে ৩৯ জন অভিবাসীর মৃত্যু

Update Time : ০৯:২৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১

তিউনিশিয়া উপকূলে দুটি যাত্রীবোঝায় নৌকা ডুবে ৩৯ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকা দুটি ডুবে যায়। মৃতরা সবাই আফ্রিকান নাগরিক।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জেকরি বলেন, এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ১৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করলেও আরও অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে। এ জন্য সাগরের স্ফ্যাক্স উপকূলে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বাহিনীটির সদস্যরা। নিহত সকল অভিবাসী আফ্রিকান বলেই নিশ্চিত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত দুই মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করেছে প্রায় চার হাজার অভিবাসী। এর মধ্যে তিউনিশিয়া দিয়েই ঢুকেছে এক হাজার।

তিউনিশিয়ার বন্দর শহর স্ফ্যাক্সের নিকটবর্তী উপকূলরেখায় আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা এবং ইউরোপে আরও উন্নত জীবনের খোঁজে এটি একটি প্রধান প্রস্থানস্থানে পরিণত হয়েছে।

এর আগে ২০১২-তে, প্রতিবেশী লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পরে তাদের নৌকা তিউনিসিয়ার উপকূলে ডুবে গেলে প্রায় ৯০ জন আফ্রিকান অভিবাসী ডুবে যায়।

একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী বলেছে যে, তিউনিসিয়ায় অর্থনৈতিক সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এরই জেরে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইতালির তীরে তিউনিসিয়ান অভিবাসীদের সংখ্যা পাঁচগুণ বেড়ে ১৩ হাজারে পৌঁছেছে।

সূত্র রয়টার্স