Dhaka ০৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকার সড়কে সকালে গণপরিবহন কম, অফিসগামী মানুষের ভোগান্তি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৯ Time View

নববর্ষে একদিনের ছুটি শেষে মঙ্গলবার যথারীতি খুলেছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। ফলে সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটতে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষদের। তবে ঢাকার সড়কে অফিসগামী মানুষের চাপ থাকলেও এদিন সকালে গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। বাস স্টপেজগুলোতে গাড়ির কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেলেও কোথাও দীর্ঘ যানজটের চিত্র দেখা যায়নি। তবে কোথাও কোথাও স্টপেজগুলোতে গণপরিবহনের কিছুটা জটলা দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, ফার্মগেট ও কারওয়ানবাজার এলাকা ঘুরে ও গুগল ম্যাপের সহায়তায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অফিসগামী মানুষ সকাল ৮টার আগে থেকেই বাস স্টপেজগুলোতে ভিড় করেন। যদিও সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি ছিল কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহন কিছুটা বাড়লেও তা অন্য স্বাভাবিক দিনের মতো ছিল না। ফলে অনেক বাসে যাত্রীদের গাদাগাদি করে চড়তে দেখা গেছে। আবার অনেকে বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে গন্তব্যে ছুটছিলেন।

সকালে সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত জটলা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে। সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি কম থাকলেও নিজস্ব যানবাহন ছিল চোখে পড়ার মতো।

গণপরিবহন কম থাকায় যাত্রীদের অনেককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর বাস পেলেও সেগুলো ছিল যাত্রীতে ঠাসা। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকের বাড়তি ভাড়া গুনে রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা বিকল্প যানবাহনে গন্তব্যে যেতে হয়েছে।

কল্যাণপুর থেকে বনানী অফিসে যাচ্ছিলেন ইমতিয়াজ হোসেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও বাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে চেপে বসেন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে। কথা হলে তিনি বলেন, আজকে গাড়ি কিছুটা কম মনে হচ্ছে। গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম বেশ কিছু সময়। হাতে সময়ও কম ছিল। তাই বাধ্য হয়ে মোটরবাইকে অফিস যাচ্ছি।

শ্যামলী বাসস্টপেজ দাঁড়িয়ে থাকা মহাখালীগামী যাত্রী মো. এহসান বেশ কয়েকটা বাস পেলেও যাত্রীদের চাপের কারণে সেগুলোতে ওঠার মতো সুযোগ পাননি। তিনি বলেন, দাঁড়িয়ে আছি। যেসব বাস আসছে সেগুলোতে পা ফেলার উপায় নেই। মনে হচ্ছে অন্য কোনো উপায় খুঁজতে হবে।

গাড়ির সংখ্যা কম মনে হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে এই যাত্রী বলেন, আগের তুলনায় কিছুটা কম মনে হচ্ছে। এছাড়া সকালে অফিস টাইমে প্রতিদিনই গাড়িগুলো যাত্রীতে ঠাসা থাকে। এসব গাড়ি অনেক সময় স্টপেজে থামছে না। থামলেও গাড়ি থেকে একজন নামলে দশ জন ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ঢাকার সড়কে সকালে গণপরিবহন কম, অফিসগামী মানুষের ভোগান্তি

Update Time : ০৪:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

নববর্ষে একদিনের ছুটি শেষে মঙ্গলবার যথারীতি খুলেছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। ফলে সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটতে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষদের। তবে ঢাকার সড়কে অফিসগামী মানুষের চাপ থাকলেও এদিন সকালে গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। বাস স্টপেজগুলোতে গাড়ির কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেলেও কোথাও দীর্ঘ যানজটের চিত্র দেখা যায়নি। তবে কোথাও কোথাও স্টপেজগুলোতে গণপরিবহনের কিছুটা জটলা দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, ফার্মগেট ও কারওয়ানবাজার এলাকা ঘুরে ও গুগল ম্যাপের সহায়তায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অফিসগামী মানুষ সকাল ৮টার আগে থেকেই বাস স্টপেজগুলোতে ভিড় করেন। যদিও সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি ছিল কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহন কিছুটা বাড়লেও তা অন্য স্বাভাবিক দিনের মতো ছিল না। ফলে অনেক বাসে যাত্রীদের গাদাগাদি করে চড়তে দেখা গেছে। আবার অনেকে বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে গন্তব্যে ছুটছিলেন।

সকালে সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত জটলা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে। সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি কম থাকলেও নিজস্ব যানবাহন ছিল চোখে পড়ার মতো।

গণপরিবহন কম থাকায় যাত্রীদের অনেককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর বাস পেলেও সেগুলো ছিল যাত্রীতে ঠাসা। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকের বাড়তি ভাড়া গুনে রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা বিকল্প যানবাহনে গন্তব্যে যেতে হয়েছে।

কল্যাণপুর থেকে বনানী অফিসে যাচ্ছিলেন ইমতিয়াজ হোসেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও বাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে চেপে বসেন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে। কথা হলে তিনি বলেন, আজকে গাড়ি কিছুটা কম মনে হচ্ছে। গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম বেশ কিছু সময়। হাতে সময়ও কম ছিল। তাই বাধ্য হয়ে মোটরবাইকে অফিস যাচ্ছি।

শ্যামলী বাসস্টপেজ দাঁড়িয়ে থাকা মহাখালীগামী যাত্রী মো. এহসান বেশ কয়েকটা বাস পেলেও যাত্রীদের চাপের কারণে সেগুলোতে ওঠার মতো সুযোগ পাননি। তিনি বলেন, দাঁড়িয়ে আছি। যেসব বাস আসছে সেগুলোতে পা ফেলার উপায় নেই। মনে হচ্ছে অন্য কোনো উপায় খুঁজতে হবে।

গাড়ির সংখ্যা কম মনে হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে এই যাত্রী বলেন, আগের তুলনায় কিছুটা কম মনে হচ্ছে। এছাড়া সকালে অফিস টাইমে প্রতিদিনই গাড়িগুলো যাত্রীতে ঠাসা থাকে। এসব গাড়ি অনেক সময় স্টপেজে থামছে না। থামলেও গাড়ি থেকে একজন নামলে দশ জন ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।