ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। আজ সোমবার তিনি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য ভূমিকা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অনন্য ভূমিকা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

শরীফ আরো বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর এলাকার শিশু-কিশোর সহ সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্মকে উপস্থাপনের মূর্ত প্রতীক হিসেবে কাজ করবে এই বঙ্গবন্ধু স্কয়ার।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শরীফ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছেন। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন।

তিনি বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার। তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করেই পূর্বাচলের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মূল দায়িত্ব গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়। আর মন্ত্রণালয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ কাজের দায়িত্ব প্রদান করে। আর স্কয়ারের মূল নকশা প্রণয়ন করে স্থাপত্য অধিদপ্তর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের শৈল্পিক ভঙ্গিমা তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের মূল নকশায়।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৫ নং সেক্টরের ২০৩ নং সড়কের ১৭ নাম্বার প্লটে ২ দশমিক ৩১৯ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে ঐতিহাসিক এই স্থাপনা। এই স্থাপনার নির্মাণে মোট খরচ হবে ৫৫ কোটি ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তার শূণ্যে উত্থিত তর্জনী ব্রোঞ্জ নির্মিত ভাস্কর্যে শোভা পাবে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে ভাস্কর্যটির উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১ ফুট। দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে আগামী প্রজন্মের কাছে অনন্য মাইলফলক হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা।

– বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে