স্টাফ রিপোর্টার : দেশের উত্তরাঞ্চলের পর গত কয়েকদিন ধরে মধ্যাঞ্চলের নদীগুলোতে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে উজানের ঢলে আসা বন্যার পানি। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, বাড়ির আঙ্গিনা। বহুস্থানে বিলীন হয়েছে মানুষের বসত ভিটা। উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের পর এবার বন্যার পানির এই ঢলে প্লাবিত রাজধানীর নিম্নাঞ্চলও। ফলে বালু ও শীতলক্ষ্যা নদী তীরবর্তী মানুষের নিত্য দিনের ভোগান্তি বেড়েছে। সড়ক পথ পানি নিচে থাকায় এই এলাকার মানুষের এখন একমাত্র বাহন হয়েছে নৌকা।

সরকারি হিসেবে দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের ২৫ জেলায় এখন চলছে বন্যা। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ ১৮টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের নদ-নদীর ধারণ ক্ষমতার অতিরক্ত এই পানির ঢল এসে এখন ধাক্কা দিচ্ছে রাজধানীর নিন্মাঞ্চলেও। ঢাকার চারপাশের ফসলের মাঠ বহু আগেই তলিয়েছে। এখন ঘরে মেঝেতে ঢেউ তুলছে বন্যার পানি। জীবন যাত্রা হয়ে ওঠেছে দুর্বিসহ।

নদী তীরবর্তী কেরানীগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের একমাত্র বাহন হয়েছে নৌকা।

শ্রাবনের টানা বৃষ্টি আর নদীর পানি বাড়ার কারণে রাজধানীর শহরতলী খ্যাত নন্দীগ্রাম নন্দীপড়া, সাতারকুল, ডেমরা ও মেরাদিয়াসহ বেড়িবাধের বাইরে থাকা বেশিরভাগ এলাকা এখন পানির নিচে। ফসলের মাঠে শুধুই জলরাশির ঢেউ।

নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি করপোরেশনের ভিতের ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালের পানি উল্টো শহরের ভেতরে আসায় স্লুইস গেইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। নগরের ভেতরের পাঁচটি পাম্পস্টেশন দিয়ে সেচ করে পানি ফালাচ্ছে নদীতে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বালু ও শীতালক্ষ্যা নদীর পানি।

আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, আগামী সপ্তাহ জুড়েই থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলেও। সে কারনে সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।

ঢাকার আশপাশের নিম্নাঞ্চলের  প্লাবিত এলাকার মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে