সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরাইলকে চুক্তির আওতায় আনতে ভূমিকা রাখায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। এ খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ফক্স।
২০২১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন নরওয়ে পার্লামেন্টের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং জিজেডে। তবে ট্রাম্পের মনোনয়ন নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি নরওয়ের নোবেল কমিটি।
গত ১১ আগস্ট ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলের সঙ্গে কোনো আরব দেশের এই চুক্তি ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা ঘোষণার পর তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ইসরাইলের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান চুক্তি করেছিল।
উল্লেখ্য, যে কোনো জাতীয় সংসদ সদস্য, সাবেক নোবেলজয়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যরা যে কাউকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে পারেন।
এর আগে ২০১৬ সালে টাইব্রিং জিজেডে সংসদ সদস্য থাকার সময় ইসলামি সমালোচক বলে পরিচিত চলচিত্র নির্মাতা আয়ান হিরসি আলীকেও মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য নোবেল পুরস্কার পাননি।
গত কয়েক দশকে এমন অনেকেই হুটহাট করে কোনও কোনর ব্যক্তিকে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কয়েকজনই যেতে পারেন ওই সংক্ষিপ্ত তালিকায়।
অবশ্য টাইব্রিং জিজেড দাবি করেছেন, ‘ট্রাম্প পৃথিবীর অনেক দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। সামনের বছর পুরস্কারটির জন্য তারই বিবেচিত হওয়া উচিত।’
২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও জাতিগত সংঘাত নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। গত বছর ১১ অক্টোবর রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল জয়ী হিসেবে আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করেছিল।