প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, এবার ধাপে ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সিইসি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অন্তত ২০ থেকে ২৫টি পৌরসভা দিয়ে ভোট শুরু হবে। মোট ৫ ধাপে মে মাসের মধ্যে পৌরসভায় ভোট সম্পন্ন হতে পারে। এছাড়া সব পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।

সিইসি বলেন, ‘আজকের সভায় স্থানীয় সরকারের যে নির্বাচনগুলো ডিউ হয়েছে সেই নির্বাচনগুলো পরিচালনা করা, সেগুলোর সিডিউল তৈরি করা এবং রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ থেকে শুরু করে আমাদের করনীয় কাজগুলো ঠিক করেছি। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, ওই নির্বাচনগুলো আমরা ডিসেম্বরের শেষের দিকে করে ফেলব। সে রকম প্রস্তুতি আছে। পৌরসভা নির্বাচন যেগুলো হবে সেগুলো ইভিএমে হবে। আর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদে উপ-নির্বাচন বা সাধারণ নির্বাচন যেগুলো আছে সেগুলোও করে ফেলবো। তবে এগুলোর সবগুলোতে ইভিএমে করা যাবে না। হয়তো কিছু সংখ্যক ইভিএমে করা যেতে পারে। পৌরসভা নির্বাচন করার পরে যদি সক্ষমতা হয় তাহলে হয়তো কিছু করবো।’

তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ যেগুলোর সময় হবে। সেগুলোর নির্বাচন করা হবে। এই সময়ে পৌরসভা হবে ২০ থেকে ২৫টা। মে মাসের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করা যাবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধাপে ধাপে হওয়াই ভালো। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পাঁচ ধাপে সম্পন্ন হতে পারে। এটা ঠিক না, আমার অনুমান।’

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পৌরসভায় প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই ধাপে ধাপে নির্বাচন করতে হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।

আরেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণের সাথে এটা সম্পর্কিত এটা হলো এক নম্বর। আর দ্বিতীয় হলো একই সাথে অনেকগুলো থাকলেও যেহেতু পৌরসভা নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে করা হবে। তাই ইভিএমে যে লজিস্টিক সাপোর্ট, জনবল সবকিছুকে বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে কয় ধাপে হবে সেটি এখনো ঠিক হয়নি। নীতিগতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে পৌরসভা ভোট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আমরা চাচ্ছি পৌরসভা নির্বাচন ইভিএমে হোক। সুতরাং আমাদের ইভিএমে ক্যাপাসিটি দেখতে হবে। কতগুলো পৌরসভায় নিতে পারবে সেটিও দেখতে হবে।
দেশের মোট ৩২৯টি পৌরসভার মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। তখন ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।

– বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে