Dhaka ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ডিআইজি বজলুর রশীদের স্থাবর সম্পতি ক্রোক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৫৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১২৪ Time View

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় কারা অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের স্থাবর সম্পতি ক্রোক ও দু’টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল আজ। এদিন বজলুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। অপরদিকে তার আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২২ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

এদিন অবৈধভাবে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের আইনজীবী তার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও দু’টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন করেন। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন। অপরদিকে বজলুর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকালে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পরই বজলুরকে গ্রেফতার করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সেদিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল, ঘুষের কোটি কোটি টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসতো রশীদের কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো এসব টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার। জিজ্ঞাসাবাদে বজলুর রশীদের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ময়মনসিংহ কারাগারের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন রাজ্জাকুন নাহার। ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের সমমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই দফায় নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন কারারক্ষীর কাছ থেকে নিয়োগ-বাণিজ্যের ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছেন বজলুর রশীদ নিজেই। আরেক কারারক্ষীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, কারা সদর দফতরে ডিআইজি পদে থাকায় বজলুর রশীদ সারাদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে চাঁদার নামে নির্ধারিত রেটে ঘুষ নিয়েছিলেন। এই টাকা যেত কুমিল্লার তৌহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি তা পাঠাতেন বজলুর রশীদের স্ত্রীর কাছে। কুমিল্লা থেকে তৌহিদ হোসেন মিঠুর পাঠানো টাকা এসএ পরিবহনের কাকরাইলের প্রধান অফিস থেকে শুধু মোবাইলে মালিকানা নিশ্চিত করে তুলে নেয়া হয়।

গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একটি জাতীয় দৈনিক তার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে উঠে আসা ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বজলুর রশীদ বলেছিলেন, ‘আমি দুটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করেছি। যারা এই দু’টি দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারাই এই নিউজ করিয়েছে। সবকিছু বানোয়াট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

ডিআইজি বজলুর রশীদের স্থাবর সম্পতি ক্রোক

Update Time : ১০:৫৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় কারা অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের স্থাবর সম্পতি ক্রোক ও দু’টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল আজ। এদিন বজলুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। অপরদিকে তার আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২২ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

এদিন অবৈধভাবে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের আইনজীবী তার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও দু’টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন করেন। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন। অপরদিকে বজলুর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকালে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পরই বজলুরকে গ্রেফতার করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সেদিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল, ঘুষের কোটি কোটি টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসতো রশীদের কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো এসব টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার। জিজ্ঞাসাবাদে বজলুর রশীদের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ময়মনসিংহ কারাগারের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন রাজ্জাকুন নাহার। ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের সমমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই দফায় নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন কারারক্ষীর কাছ থেকে নিয়োগ-বাণিজ্যের ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছেন বজলুর রশীদ নিজেই। আরেক কারারক্ষীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, কারা সদর দফতরে ডিআইজি পদে থাকায় বজলুর রশীদ সারাদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে চাঁদার নামে নির্ধারিত রেটে ঘুষ নিয়েছিলেন। এই টাকা যেত কুমিল্লার তৌহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি তা পাঠাতেন বজলুর রশীদের স্ত্রীর কাছে। কুমিল্লা থেকে তৌহিদ হোসেন মিঠুর পাঠানো টাকা এসএ পরিবহনের কাকরাইলের প্রধান অফিস থেকে শুধু মোবাইলে মালিকানা নিশ্চিত করে তুলে নেয়া হয়।

গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একটি জাতীয় দৈনিক তার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে উঠে আসা ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বজলুর রশীদ বলেছিলেন, ‘আমি দুটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করেছি। যারা এই দু’টি দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারাই এই নিউজ করিয়েছে। সবকিছু বানোয়াট।