কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তথ্য জালিয়াতি করে দুই এলাকায় ভোটার এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেয়ায় এ মামলা করছে ইসি। আজ বৃহস্পতিবার ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর জানান, এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালককে (ডিজি) ডা. সাবরিনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কোন প্রক্রিয়ায়, কার সুপারিশে ডা. সাবরিনা দ্বিতীয়বার ভোটার হয়েছেন, ইসির কেউ কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে সহায়তা করেছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান মো. আলমগীর। ইসি ইতোমধ্যে সাবরিনার একটি এনআইডি ব্লক করেছে। ইসি সচিব বলেন, ‘সাবরিনার দ্বিতীয় এনআইডি পেতে কারা সাহায্য করেছিল, আমরা ইতোমধ্যে সে বিষয়ে তদন্ত করছি।’
ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ অনুযায়ী দুটি এনআইডি রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। এর সর্বনিম্ন শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা উভয়।
ইসির এনআইডি শাখা জানায়, জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এর একটিতে জন্মতারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। এ ক্ষেত্রে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হন সাবরীনা।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবরীনার একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে। ঐ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনা খতিয়ে দেখছে কমিশন। ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি এনআইডি রাখায় এর আগে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রেও আমরা কাউকে ছাড় দেব না।’
নকল কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট তৈরির মামলায় অভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ড. সাবরিনা ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত চলাকালীন দুদক জানতে পেরেছে যে সাবরিনার দুটি এনআইডি।