সাইমন হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৩ নং ধনতলা ইউনিয়নের চোটাগী (বাহারজিলা) গ্রামে নিখোঁজের ২ দিন পর এক ব্যক্তির মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২০ মে (শুক্রবার) সকালে সোমসের আলী নামে এক ব্যক্তি কৃষি কাজের জন্য জমিতে গেলে ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার করলে এলাকার লোকজন মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সংবাদ দেয় এবং পরিবারের লোক লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ব্যক্তি চৌটাগী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও মৃত মুনিরাম সিংহের ছেলে অশ্বিনী কুমার সিংহ (৪৮)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গত বুধবার রাত ৯ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবারের লোকজন।
থানা সূত্রে জানা যায় নিহত ব্যক্তিকে খুঁজে না পাওয়ায় পর বালিয়াডাঙ্গী থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি সাধারণ ডায়রি করেন যাহার জিডি নং ৮১০ পরে শুক্রবার সকালে বাড়ির ১ কিঃ মিঃ পূর্বে ঝোপঝাড়ের নিমগাছের সাথে রশি দিয়ে বাধা ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে মৃত ব্যক্তির ছেলে বিজয় চন্দ্র বলেন, গত মঙ্গলবার আমার চাচাতো ভাই রজনী চন্দ্র সিংহের প্রেমিকার শিফা রাণী ও ২য় স্ত্রী জয়ন্তী রাণী বিয়েকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং প্রেমিকা জয়ন্তী রানী পিতা,সকেল চন্দের লোকজন আমাদের সেদিন থেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করে আসছিলেন এবং এলাকার কয়েকজন মাস্তান ছেলে পেলে দিয়ে আমাদের হুমকি দেয় এবং তারা তার বাবাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন।
মৃত ব্যক্তির স্ত্রী মুক্তি রানী বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
প্রেমিকা জয়ন্তী রানীর বাবা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে আমার মেয়ের আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে, মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর ব্যাপারে আমরা জানি না।
এবিষয়ে ৩নং ধনতলা ইউপি চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যাটার্জী জানান, গত মঙ্গলবার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, আমি ধারণা করছি এই অভিমানে ছেলের চাচা আত্মহত্যা করতে পারে তবে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে তারাই তদন্ত করে এব্যপারে বিস্তারিত বলতে পারবে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান জানান ঘটনা স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
