সাইমন হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহহীনদের জন্য নির্মিত সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে ফাটল দেখা গেছে ফলে বিপাকে পরেছে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর দিন কাটছে আতঙ্কে।
স্থানীয়দের অভিযোগ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃস্টি হয়েছে তবে প্রশাসন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন দ্রুতগতিতে ঘরগুলো তৈরি করার জন্য এই অবস্থা তবে খুব শিঘ্রই তা মেরামত করা হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম দফায় গড়ে উঠা ১৩৩ টি ঘর গত দু মাস আগে সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বুঝে পান ঠাকুরগাঁওয়ের ভুমিহীনরা গৃহহীনরা সেই পাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হলেও গেল শুক্রবার রাতের সামান্য বাতাসের কবলে পরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশকয়েটি ঘরের দেয়াল ও মেঝে ফেটে যায় ফলে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
সরকারি ঘর পাওয়া ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম, সাবেরা খাতুন, দুলাল, সেলিম উদ্দিন সহ অনেকে জানান, সামান্য বাতাসে বেশকয়েকটি ঘর ফেটে গেছে এর কারন হলো ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে এসব ফাটল ধরা ঘরে থাকতে ভয় লাগছে অনেকে ঘর ছেড়ে বাইরে থাকছে আমরা ভূমিহীন গরিব মানুষ বলেই ঘর পেয়েছিলাম কিন্তু এমন ঘর পেলায় সে ঘরে থাকা এখন মুসকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমরা এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
হরিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল জানান, সবকিছুই নির্বাহী অফিসার করেছেন ঘরগুলো টেকশই না হয় তাহলে তো ব্যর্থতাই বলা যায় বলে স্বীকার করেন।
হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল করিম জানান, প্রথম ধাপের কাজ ছিল বলেই তারাহুরা করতে হয়েছে আর ফাটলের এই অনিয়ম অস্বীকার করে বলে যেহেতু এমন হয়েছে তাই ঘরগুলো দ্রুতই মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করে তোলা হবে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, প্রথম দফায় প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ধরে বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) গ্রামে ১৩৩টি ঘর নির্মাণ করা হয় আর এসব ঘরগুলোতে গৃহহীনদের দেওয়া হয় গত ফেব্রুয়ারিতে।