সাইমন হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
সারাদেশে যখন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে খেলার মাঠেই করা হয়েছে ধান চাষ এতে নষ্ট হয়েছে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ।
ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের চন্দন চহট আলহাজ্ব ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা মাঠে।
তবে অভিযোগ উঠেছে, এ কাজে সহায়তা করছেন, অত্র মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও মাদ্রাসার সুপার মমতাজ আলীর বিরুদ্ধে।
আব্দুল কাদের নামে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, যেখানে দেড় বছর যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না আর সেই সুযোগে মাদ্রাসার মাঠে ধান চাষ করা কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি এতে মাদ্রাসার মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।
চন্দন চহট আলহাজ্ব ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মমতাজ আলী জানান, ১৯৯৫ সালে আমরা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করি এরপর থেকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় মাদ্রাসার কার্যক্রম চালিয়ে আসছি শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন দিতে পারি না অফিস সহকারি অনুরোধে করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে ধান চাষের অনুমতি দিয়েছি তাছাড়া মাদ্রাসার বন্ধের কারনে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা তো করে না।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসা যেহেতু এমপিও ভুক্ত হয়নি করোনার জন্য বন্ধও রয়েছে তাই ফেলে না রেখে অফিস কর্মচারি ধান রোপন করেছেন এতে সমস্যা তো দেখছি না।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাঠে ধান চাষ করার কোনো বিধান নেই মাঠটি খেলার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য উম্মুক্ত থাকবে। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারকে ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।