সাইমন হোসেন ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে দাদন ব্যবসায়ির ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পল্লী পশু চিকিৎসক আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যক্তি।
৭ই মার্চ (রবিবার) দুপুরে সদর উপজেলার ভূল্লী বাজারে ভূল্লী প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন এবং লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ আমি নিঃস্ব হয়ে পথের ভিক্ষারী, আমার কিছুই নেই, যা কিছু ছিলো সব তারা নিয়ে নিয়েছে এখন আর কোন উপায় না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি।
গত ২/১০/২০১৭ ইং তারিখে আমার এক আত্নীয় বিদেশ যাবে সেই মর্মে আমার এলাকার পরিচিত দাঁদন ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর আলম এর কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা হাওলাত বাবদ নেই পরবর্তীতে সময় সাপেক্ষে আসল ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করি এবং সুদ বাবদ তাকে আরোও ৭ লক্ষ ২ হাজার টাকা প্রদান করি এরপর তার কাছে থাকা আমার জামানত বাবদ ইসলামি ব্যাংক, ঠাকুরগাঁও শাখার দুটি ব্লাংক চেক ও আমার ছেলের সোনালী ব্যাংক, ভূল্লী শাখার একটি ব্লাংক চেক এবং একটি ব্লাংক স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে সে উক্ত চেক ও স্ট্য্যাম্পগুলো না দিয়ে উল্টো আমার কাছে টাকা দাবি করে এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও ভিটে ছাড়ার পায়তারা করতেছে এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ সময় আব্দুল হাকিম আরো বলেন, সুদের টাকা দিতে গিয়ে আমাকে বাড়ীর ভিটা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে আমি তার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি আমার পরিবার খুব কষ্ট করে দিন পার করতেছে। আর কতো টাকা দিলে ক্ষান্ত হবেন দাদন ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর আলম তার ফাঁদে পড়ে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়েছে সে অল্প সময়ের মধ্যে সুদের ব্যবসা করে কোটি পতি হয়েছে আমি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে সহযোগী চাই।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসার কাজে আমি তার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাওলাত নেই এবং সময় সাপেক্ষে আসল টাকা পরিশোধ করি এবং অতিরিক্ত লাভ বাবদ আরো ৭ লক্ষ টাকা প্রদান করি কিন্তু তারপরেও সে আমাকে মামলার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
পরে এ বিষয়ে দাদন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ভূট্টার ব্যবসা করি তার জন্য তাকে কিছু টাকা দিয়েছি আমি দাদন ব্যবসা করি না।