Dhaka ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রেনে সুশৃঙ্খলভাবে ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • 26

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ট্রেন চালাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই ট্রেন চলাচলের দ্বিতীয় দিন আজ রোববার (১ জুন)। দেশের প্রধান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে সকাল থেকে দেখা গেছে, যাত্রীদের সুশৃঙ্খল ও অপেক্ষাহীন ভাবে ট্রেনে ওঠার দৃশ্য।

রেলওয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াচ্ছে ট্রেনগুলো। ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে। এদের মধ্যে একমাত্র রংপুর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও অন্যান্য ট্রেন নির্ধারিত সময়েই যাত্রা শুরু করেছে।

ঢাকা রেলস্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট যাচাইয়ের তিন স্তরের চেকপোস্ট অতিক্রম করে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছেন। এছাড়া বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফলে টিকিটবিহীন যাত্রীদের আনাগোনা চোখে পড়েনি। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ও রেল নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ফারদিন আল মাহমুদ বলেন, অনলাইনে অনেক কষ্ট করে আজকের টিকিট পেয়েছিলাম। তবে স্টেশনে এসে খুবই ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মে ট্রেন প্রস্তুত ছিল, কোনো হুড়োহুড়ি ছাড়াই নিজের সিটে বসতে পেরেছি। একমাত্র দুঃখের বিষয়, ট্রেনটি ছাড়তে দেরি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও, সেটি ২০ মিনিট বিলম্বে সাড়ে ৯টায় ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রা শুরু করে।

জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মাসুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্টেশনে এসে খুব ভালো লেগেছে। আগে যেখানে কয়েক ঘণ্টা বসে থাকতে হতো, এখন সেখানে নির্ধারিত সময়েই ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনাও প্রশংসনীয়।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের নিরাপদ ও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছে দিতে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। যাত্রীদের চাপে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য ট্রেন ছাড়ার আগেই পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে ট্রেনগুলো স্টেশনে এনে রাখা হচ্ছে।

যাত্রীরা রেলওয়ের এমন উন্নত ও সময়নিষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রত্যাশা, শুধু স্টেশন ব্যবস্থাপনাই নয়, ট্রেনগুলো যেন নির্ধারিত সময়েই গন্তব্যে পৌঁছায়, তাহলেই ঈদের এই যাত্রা হবে আরও সুখকর।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ট্রেনে সুশৃঙ্খলভাবে ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা

Update Time : ০৫:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ট্রেন চালাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই ট্রেন চলাচলের দ্বিতীয় দিন আজ রোববার (১ জুন)। দেশের প্রধান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে সকাল থেকে দেখা গেছে, যাত্রীদের সুশৃঙ্খল ও অপেক্ষাহীন ভাবে ট্রেনে ওঠার দৃশ্য।

রেলওয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াচ্ছে ট্রেনগুলো। ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে। এদের মধ্যে একমাত্র রংপুর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও অন্যান্য ট্রেন নির্ধারিত সময়েই যাত্রা শুরু করেছে।

ঢাকা রেলস্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট যাচাইয়ের তিন স্তরের চেকপোস্ট অতিক্রম করে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছেন। এছাড়া বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফলে টিকিটবিহীন যাত্রীদের আনাগোনা চোখে পড়েনি। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ও রেল নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ফারদিন আল মাহমুদ বলেন, অনলাইনে অনেক কষ্ট করে আজকের টিকিট পেয়েছিলাম। তবে স্টেশনে এসে খুবই ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মে ট্রেন প্রস্তুত ছিল, কোনো হুড়োহুড়ি ছাড়াই নিজের সিটে বসতে পেরেছি। একমাত্র দুঃখের বিষয়, ট্রেনটি ছাড়তে দেরি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও, সেটি ২০ মিনিট বিলম্বে সাড়ে ৯টায় ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রা শুরু করে।

জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মাসুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্টেশনে এসে খুব ভালো লেগেছে। আগে যেখানে কয়েক ঘণ্টা বসে থাকতে হতো, এখন সেখানে নির্ধারিত সময়েই ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনাও প্রশংসনীয়।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের নিরাপদ ও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছে দিতে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। যাত্রীদের চাপে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য ট্রেন ছাড়ার আগেই পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে ট্রেনগুলো স্টেশনে এনে রাখা হচ্ছে।

যাত্রীরা রেলওয়ের এমন উন্নত ও সময়নিষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রত্যাশা, শুধু স্টেশন ব্যবস্থাপনাই নয়, ট্রেনগুলো যেন নির্ধারিত সময়েই গন্তব্যে পৌঁছায়, তাহলেই ঈদের এই যাত্রা হবে আরও সুখকর।