Dhaka ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্যাংরার চরে দুর্গত মানুষের পাশে চাষী কৈবর্ত সমাজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • ১৫৭ Time View

তপনকান্তি মণ্ডল, বিশেষ প্রতিনিধি :

দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার কুল্পির ট্যাংরার চরে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ালো ডায়মণ্ড হারবার চাষী কৈবর্ত (মাহিষ্য) সমাজ।

এক বছর আগে আমফান ঝড়ের ক্ষত না মিটতেই এবার আছড়ে পড়ে ইয়াস। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবারো ভেঙেছে নদী বাঁধ। নিরাশ্রয় হয়ে যায় শতশত মানুষ। গড়ে ৩০০ মানুষকে একটানা ২০ দিন দুপুরে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়।

শতফুল কিশোর বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় এই সেবা কাজে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়। রণজিত মণ্ডল ও মানিক বৈরাগীর তত্ত্বাবধানে গ্ৰামবাসীদের নিয়ে শুরু করা হয়েছে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি।

 

বিপন্ন মানুষের শুধু অন্নদান বা স্বাস্থ্য পরিষেবা নয়, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আনন্দানুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা করা হয়। সম্রাট বসু পরিচালিত থিয়েটার ট্র্যাভেলার কলকাতা “খেলতে খেলতে নাটক” কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৭০ জন শিশু কিশোর কিশোরী নিয়ে চলমান ঘটনাবলীর বিষয়ে নাট্যরূপের মহড়া দেওয়া হয়।অল্প সময়ে এত সুন্দর অনুষ্ঠানে অংশ গ্ৰহণ করতে পেরে সবার মনে খুশির ছোঁয়া। থিয়েটার গ্ৰুপের পক্ষ থেকে এদিন নাটকে অংশ গ্রহণকারীদের দুপুরে আহারের ব্যবস্থা করা হয়

ডায়মণ্ড হারবার চাষী কৈবর্ত মাহিষ্য সমাজের সভাপতি অপরেশ হালদার ও সম্পাদক সিদ্ধানন্দ পুরকাইত জানিয়েছেন যে, শুধু ট্যাংরার চর নয়, পরবর্তী ২০ দিনের কমিউনিটি কিচেন সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপে চালু হবে মঙ্গলবার থেকে এবং তারপর নামখানায়। সর্বত্র পরিবেশ রক্ষার আবেদন নিয়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ট্যাংরার চরে দুর্গত মানুষের পাশে চাষী কৈবর্ত সমাজ

Update Time : ০৪:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

তপনকান্তি মণ্ডল, বিশেষ প্রতিনিধি :

দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার কুল্পির ট্যাংরার চরে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ালো ডায়মণ্ড হারবার চাষী কৈবর্ত (মাহিষ্য) সমাজ।

এক বছর আগে আমফান ঝড়ের ক্ষত না মিটতেই এবার আছড়ে পড়ে ইয়াস। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবারো ভেঙেছে নদী বাঁধ। নিরাশ্রয় হয়ে যায় শতশত মানুষ। গড়ে ৩০০ মানুষকে একটানা ২০ দিন দুপুরে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়।

শতফুল কিশোর বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় এই সেবা কাজে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়। রণজিত মণ্ডল ও মানিক বৈরাগীর তত্ত্বাবধানে গ্ৰামবাসীদের নিয়ে শুরু করা হয়েছে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি।

 

বিপন্ন মানুষের শুধু অন্নদান বা স্বাস্থ্য পরিষেবা নয়, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আনন্দানুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা করা হয়। সম্রাট বসু পরিচালিত থিয়েটার ট্র্যাভেলার কলকাতা “খেলতে খেলতে নাটক” কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৭০ জন শিশু কিশোর কিশোরী নিয়ে চলমান ঘটনাবলীর বিষয়ে নাট্যরূপের মহড়া দেওয়া হয়।অল্প সময়ে এত সুন্দর অনুষ্ঠানে অংশ গ্ৰহণ করতে পেরে সবার মনে খুশির ছোঁয়া। থিয়েটার গ্ৰুপের পক্ষ থেকে এদিন নাটকে অংশ গ্রহণকারীদের দুপুরে আহারের ব্যবস্থা করা হয়

ডায়মণ্ড হারবার চাষী কৈবর্ত মাহিষ্য সমাজের সভাপতি অপরেশ হালদার ও সম্পাদক সিদ্ধানন্দ পুরকাইত জানিয়েছেন যে, শুধু ট্যাংরার চর নয়, পরবর্তী ২০ দিনের কমিউনিটি কিচেন সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপে চালু হবে মঙ্গলবার থেকে এবং তারপর নামখানায়। সর্বত্র পরিবেশ রক্ষার আবেদন নিয়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।