ক্রীড়া ডেস্ক:

তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের দেওয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট আর ১০ বল থাকতেই পেরিয়ে গেছে স্বাগতিক দল।

এই জয়ে টেস্টের পর টি-২০ সিরিজের শিরোপাও গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরে।

সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পায় স্বাগতিকরা। আজও ফলাফল তাদের পক্ষেই গেছে। গায়ানার প্রভিন্স স্টেডিয়ামে আফিফ হাসানের অর্ধশতক ও লিটন দাসের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে নিকোলাস পুরানের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো সমস্যাই হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। যদিও শুরুর দিকে স্বাগতিকদেv চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ব্রান্ডন কিংকে ফিরিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দেন নাসুম আহমেদ।

এরপর চতুর্থ ওভারে সামারা ব্র“কসকে ফেরান মাহদি হাসান। সপ্তম ওভাওে বাংলাদেশ পায় তৃতীয় ব্রেক থ্রু। এবার শিকারি সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় রান তখন ৪২। তাতে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ।

তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সব আশা শেষ হয়ে যায় টাইগারদের। কাইল মায়ার্স আর নিকোলাস পুরানের ৮৫ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে টাইগাররা। মায়ার্স ৩৮ বলে ৫৫ রান কওে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক পুরান। এই ব্যাটার মাত্র ৩৯ বলে করেন ৭৪ রান। তাতে ৫ উইকেট আর ১০ বল রেখেই জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।

যদিও আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনাই করেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং এনামুল হক বিজয়। পাওয়ার প্লেও প্রথম চার ওভার বেশ ভালোই খেলেন দু’জন। কিন্তু ৫ম ওভারে দলের রান যখন ৩৫, তখন ওডেন স্মিথকে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ বিজয়। আজ এই ব্যাটার করেন ১১ বলে ১০ রান।

এরপর ব্যাটে আসা সাকিব প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান। তবে তার ইনিংস থেমেছে মাত্র ৩ বলে। ৬ষ্ঠ ওভার রোমারিও শেফার্ডের বলে ক্যাচ তুলে ৫ রান করে আউট হন।

এরপর ব্যাটিংয়ে আসা আফিফ হোসাইন জুটি গড়েন লিটন দাসের সাথে। যদিও রান তোলার গতি ছিল মন্থর। আকিল হোসাইনের এক ওভারে ১৩ রান নিয়ে দুই ব্যাটার আশা জাগাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের। তবে ১৩তম ওভারে ৪১ বলে ৪৯ রান কওে লিটন সাজঘরে ফিরলে বড় আঘাত পায় বাংলাদেশ। এরপর ব্যাটে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলকে টেনে নিতে থাকেন আফিফ। যদিও একপ্রান্তে আফিফ ব্যাট চালালেও অন্যপ্রান্তে থাকা অধিনায়ক ছিলেন নি¯প্রভ। ১৯তম ওভারে তিনি বিদায়ের আগে ২০ বলে করেন ২২ রান।

একই ওভারে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৫০ রান। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ৬ বলে ১০ রানের সুবাদে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৬৪ রান।

ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৪ ওভাওে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন হেডেন ওয়ালশ। একটি কওে উইকেট নিয়েছেন রোমারিও শেফার্ড ও ওডেন স্মিথ।

তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে বাতিল হয়েছিল। দ্বিতীয় টি-২০ তে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। তাই আজকের ম্যাচটিই সিরিজ নির্ধারণী হিসেবে গণ্য হচ্ছে। ওয়েস্ট আজ জিতলে টেস্টেও পর টি-২০ ট্রফিও ঘরে তুলবে। তবে বাংলাদেশ জয় পেয়ে টি-২০ সিরিজটি ড্র হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে