বেন স্টোকস দলে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে কি তাহলে রাজস্থানের ভাগ্যও ফিরতে শুরু করলো? বেন স্টোকস নিজে কিছু করতে পারেননি। না বল হাতে, না ব্যাট হাতে। তবে, তার ফেরার দিনই অসাধারণ এক জয় পেলো রাজস্থান রয়্যালস।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে স্টিভেন স্মিথরা।

জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫৯ রানের। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। রায়ান পারাগ সিঙ্গেল-টিঙ্গেলে বিশ্বাসী ছিলেন না। খলিল আহমেদকে ছক্কা মেরেই রাজস্থানের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন। ১ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্টিভেন স্মিথ অ্যান্ড কোং।

আইপিএলের শুরুতে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ রাজস্থান খেলেছিল শারজায়। ওই দুই ম্যাচই ছিল হাই স্কোরিং। দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছিল তারা। কিন্তু পরের চার ম্যাচ টানা হারের ফলে রাজস্থান যেন এখনই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে নিচ্ছিল।

কিন্তু বেন স্টোকস ফেরার পর পুরো দলই উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে যেন। এ কারণে টস জিতে ব্যাট করতে নামা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৫৮ রানে আটকে ফেলে রাজস্থানের বোলাররা।

জবাব দিতে নেমে রাজস্থানের ইনিংসের সূচনা করেন বেন স্টোকস আর জস বাটলার। ৬ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে যান স্টোকস। বাটলার আউট হন ১৩ বলে ১৬ রান করে। স্টিভেন স্মিথ আউট হন ৬ বলে ৫ রান করে।

খুব দ্রুত দলের তিন ব্যাটিং স্তম্ভ বিদায় নেয়ার পর সাঞ্জু স্যামসন এবং রবিন উথাপ্পা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সাঞ্জু আউট হন ২৬ রান করে। রবিন উথাপ্পা ফিরে যান ১৮ রান করে।

এরপরই রায়ান পরাগ এবং সেই রাহুল তেওয়াতিয়ার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় রাজস্থান। এ দু’জনের হার না মানা ৭৮ রানের জুটির ওপর ভর করেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান। ২৬ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন রায়ান পারাগ এবং ২৮ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল তেওয়াতিয়া। খলিল আহমেদ আর রশিদ খান নেন ২টি করে ৪টি উইকেট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে