ইমদাদুল হক, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে ঝিনাইদহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ঘটেছিল তার স্মারক দিন ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত হচ্ছে আজ।শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. ডালিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ডা.ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড.জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সান্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান, এএনএম গোলাম মুস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভিন সহ অনেক মেধাবী ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।
এ উপলক্ষে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাড়ে ১১টায় পায়রা চত্তর থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু’র নেতৃত্বে একটি মিছিল প্রেরণা ৭১ চত্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকসহ জেলা ছাত্রলীগ,কৃষকলীগ,শ্রমিকলীগ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এ সময় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু , জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ আক্কাচ আলী,প্রচার সম্পাদক মঞ্জুর পারভেজ তুষার,ঝিনাইদহ জজ কোটের জিপি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট বিকাশ কুমার ঘোষ ,সদর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে এম রশিদুল আলম রশিদ,পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহাদুর রহমান খোকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ও পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান ,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক সরোয়ার জাহান বাদশা,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নাজমুল হক বাকি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এরফানুল হক তারেকসহ অনেকে  উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন,স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের আজকের এই দিনে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদীদের আষ্ফালন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে ইস্যু করে দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার যে ঔদ্ধত্য, দেশের জাতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আর বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার—অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চর্চা আর মানবিক মূল্যবোধের সাংস্কৃতিক জাগরণের ব্যর্থতার পদ চিহ্ন যা ভবিষ্যত গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং উন্নয়নের বাংলাদেশের গতিরোধক।মেয়র বলেন দেশ থেকে মৌলবাদী শক্তি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের সকলের সজাগ থাকতে হবে।
উল্লেখ্যঃ১৯৭১ সালের এ দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য মেধাবী ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। পরে তাদের মরদেহ রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে