ইমদাদুল হক ঝিনাইদহ:
লকডাউনের প্রথম দিনে ঝিনাইদহ শহরে অনেকটা আগের মতই বের হয়েছে মানুষ। তাদের কারো মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা দেখা যায়নি। সোমবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে লকডাউন উপেক্ষা করে মানুষের অবাধ চলাচল। এসব মানুষদের মধ্যে বেশরিভাগেরই মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই হ্যান্ড গøাফস। কেউবা সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার করছে না, থুতমিতে নামিয়ে রাখছে, কেউবা আবার পুলিশ দেখে পকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে লাগাচ্ছে। শহরে দোকানপাট বন্ধ ছিল। মানুষের চলাচলও ছিল আগের চেয়ে কম। অন্যদিকে লকডাউন প্রত্যাহারের দাবীতে জেলার কালীগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা লকডাউন প্রত্যাহারের দাবী জানান। অন্যদিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দুরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের কোন যানবাহন ছেড়ে যেতে দেখা না গেলেও শহর সহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে একাধীক যাত্রী নিয়ে অবাধে চলাচল করছে রিক্সা, ইজি বাইক, ভ্যান, থ্রি-হুইলার, ভ্যান, মটর সাইকেলসহ ভ্যক্তিগত বাহন। লকডাউনের মধ্যে যারা বাইরে ঘোরাফেরা করছে তাদের ঘরে ফেরাতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের অভিযান চলছে জেলা জুড়ে। তবে খুব একটা কাজে আসছে না। অভিযানের সম্মুখ পড়লেই বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন বাইরে বের হাওয়া মানুষ। এক রিক্সায় উঠেছে তিন যাত্রী তাদেরই একজন আফসানুর রহমান সেতু। তিনি বলেন, লকডাউন তাই রাতে ঢাকা থেকে এসেছি। এক পরিবারের তিনজন, তাই একসাথে বাড়ি ফিরছি রিক্সায় করে। শহরে বের হওয়া রোকন উদ্দীন জানান, শরীর খারাপ তাই স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছিলাম। লকডাউন জানি কিন্তু কি করবো ডাক্তারতো দেখাতেই হবে। ইজি বাইক চালক সোনা মিয়া একাধিক যাত্রী উঠিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই ভুল হয়ে গেছে, এমনটি আর কখনও হবে না। লকডাউন মনিটরিংয়ের জন্য বের হওয়া জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, শহরের প্রতিটি মোড়ে, হাটে-বাজারে জেলা প্রশাসনের অভিযান ও তদারকি চলছে। প্রথম দিনে সকালের দিকে কিছু মানুষ হয়তো অসচেতন ছিল। আমরা চেষ্টা করছি সকলকেই ঘরে রাখার জন্য। অপরদিকে পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, শহরের প্রতিটি প্রবেশ মুখ, সড়ক-মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট চলছে। কোন যানেই একাধীক যাত্রী বহন করতে দেওয়া হচ্ছে না।