Dhaka ০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিল বাংলা সুগার মিলের শেয়ার লেনদেন স্থগিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১১৮ Time View

ধারাবাহিক দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ না থাকায় জিল বাংলা সুগার মিলের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

এ বিষয়ে ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুঁজিবাজারের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

কারসাজি চক্রের খপ্পরে পরে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারিয়েছেন অনেকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছে বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু জিল বাংলার শেয়ারের ক্ষেত্রে এ সতর্কবার্তা কাজে আসেনি। শেয়ারপ্রতি ৬০৮ টাকা দেনা ও ১০৩ টাকা লোকসান সত্ত্বেও মাত্র দুই মাসে দাম বেড়েছে ৬০০ শতাংশের বেশি।

এ নিয়ে একুশে টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন ও মূল্যবৃদ্ধির কারণ খুঁজতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। পাশাপাশি জিল বাংলা সুগার মিলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকও করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু তাতে এমন দরবৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ মেলেনি।

বিএসইসি সদস্য ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, জিল বাংলার যারা ম্যানেজমেন্ট আছে তাদের সবাইকে আমি ডেকেছিলাম, তাদের সঙ্গে দীর্ঘসময় আমি আলোচনা করেছি। যেই ধারণাটা তৈরি হয়েছিল যে, সরকারের একটি প্রকল্পের টাকা সেখানে যাবে কিন্তু তারা জানিয়েছে ওই পার্টিকুলার প্রজেক্টের টাকা আসছে না। তারপরও সোমবার এ শেয়ারের দাম ২১৩ টাকায় উঠে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় মঙ্গলবার থেকে জিলবাংলার শেয়ার লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে বিএসইসি।

ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, পার্টিকুলার কিছু কিছু জায়গা থেকে মানুষ শেয়ার কেনার চেষ্টা করছে হয়তো ওই শেয়ারগুলো নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ কোন চিন্তাভাবনা থাকতে পারে। যেহেতু হঠাৎ করে বেশ কিছু শেয়ার যারা কিনেছে, সেগুলো তাদের কাছে উল্লেখযোগ্য হারে জমে গেছে। তখন চিন্তা করলাম, এটা নিয়ে মার্কেটে ভিন্ন ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে, সেটা যদি না হয় তার জন্য ভবিষ্যতে বিবেচনা করে মানুষ যাতে বিনিয়োগ করে এবং কেনাবেচা করে সেটার জন্য আপাতত এটিকে আমরা বন্ধ রেখেছি।

দুর্বল মৌলভিত্তির যে কোন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসি সদস্য আরও জানান, এখন সিদ্ধান্ত তো আপনার, এখানে আমরা শুধু বলতে পারি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

জিল বাংলা সুগার মিলের শেয়ার লেনদেন স্থগিত

Update Time : ০৯:৫২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

ধারাবাহিক দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ না থাকায় জিল বাংলা সুগার মিলের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

এ বিষয়ে ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুঁজিবাজারের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

কারসাজি চক্রের খপ্পরে পরে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারিয়েছেন অনেকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছে বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু জিল বাংলার শেয়ারের ক্ষেত্রে এ সতর্কবার্তা কাজে আসেনি। শেয়ারপ্রতি ৬০৮ টাকা দেনা ও ১০৩ টাকা লোকসান সত্ত্বেও মাত্র দুই মাসে দাম বেড়েছে ৬০০ শতাংশের বেশি।

এ নিয়ে একুশে টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন ও মূল্যবৃদ্ধির কারণ খুঁজতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। পাশাপাশি জিল বাংলা সুগার মিলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকও করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু তাতে এমন দরবৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ মেলেনি।

বিএসইসি সদস্য ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, জিল বাংলার যারা ম্যানেজমেন্ট আছে তাদের সবাইকে আমি ডেকেছিলাম, তাদের সঙ্গে দীর্ঘসময় আমি আলোচনা করেছি। যেই ধারণাটা তৈরি হয়েছিল যে, সরকারের একটি প্রকল্পের টাকা সেখানে যাবে কিন্তু তারা জানিয়েছে ওই পার্টিকুলার প্রজেক্টের টাকা আসছে না। তারপরও সোমবার এ শেয়ারের দাম ২১৩ টাকায় উঠে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় মঙ্গলবার থেকে জিলবাংলার শেয়ার লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে বিএসইসি।

ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, পার্টিকুলার কিছু কিছু জায়গা থেকে মানুষ শেয়ার কেনার চেষ্টা করছে হয়তো ওই শেয়ারগুলো নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ কোন চিন্তাভাবনা থাকতে পারে। যেহেতু হঠাৎ করে বেশ কিছু শেয়ার যারা কিনেছে, সেগুলো তাদের কাছে উল্লেখযোগ্য হারে জমে গেছে। তখন চিন্তা করলাম, এটা নিয়ে মার্কেটে ভিন্ন ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে, সেটা যদি না হয় তার জন্য ভবিষ্যতে বিবেচনা করে মানুষ যাতে বিনিয়োগ করে এবং কেনাবেচা করে সেটার জন্য আপাতত এটিকে আমরা বন্ধ রেখেছি।

দুর্বল মৌলভিত্তির যে কোন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসি সদস্য আরও জানান, এখন সিদ্ধান্ত তো আপনার, এখানে আমরা শুধু বলতে পারি।