রিয়া চক্রবর্তী গ্রেফতার হওয়ার পর শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকেও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বলিউডের বহু তারকাদের নাম নিয়েছেন রিয়া ও সৌভিক। বলিউডের বহু অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক এই মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন রিয়া।
এমনকি সম্প্রতি হওয়া বেশকিছু বলিউডের পার্টিতে মাদকের যোগান রাখা হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন। প্রায় ২৫ জন বলিউড তারকার নাম করেছেন রিয়া এবং সৌভিক। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে বলিউডের এই তারকা দের তলব করবে এনসিবি। রিয়া চক্রবর্তীর দাবি ছিল কেদারনাথ ছবির সেটে নিয়মিত গাঁজা নিতেন সুশান্ত সিং রাজপুত।
রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানসিন্দে বলেছিলেন, “সুশান্তের জীবনে রিয়া আসার অনেক আগে থেকেই তিনি মাদক নিতেন। রিয়া এমনকি এও জানতেন যে ২০১৬- ২০১৭ সালে কেদারনাথ এর শুটিং চলাকালীন তিনি নিয়মিত গাঁজা খেতেন। রিয়া তার জীবনে আসার পর তিনি মাদকাসক্ত হয়েছিলেন এমন নয়। চিকিৎসকের বারণ সত্তেও সুশান্ত মাদক নিতেন।”
সম্প্রতি রিয়া চক্রবর্তী সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং এবং মিতু সিং এবং দিল্লির চিকিৎসক তরুণ কুমার এর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছেন মুম্বাই পুলিশের কাছে। রিয়ার দাবি কোনোরকম কনসাল্ট না করে সুশান্তকে এরা ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছিলেন।
এনসিবিকে রিয়া জানিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত নিয়মিত গাঁজা নিতেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, রিয়া চক্রবর্তী তদন্তে এনসিবিকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি বেশকিছু ব্যাপার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং ঘুরিয়ে উত্তর করছেন। রিয়া স্বীকার করেছেন যে তিনি বাড়িতে গাঁজার যোগান রাখতেন। সেই গাঁজা দীপেশ সাওয়ান্তকে দিয়ে আনাতেন।
প্রসঙ্গত, তিনদিন জেরার পর রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় মূল অভিযুক্ত তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। সুশান্তের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়।
আগেই রিয়ার ভাই শৌভিক ও সুশান্তের ম্যানেজার মিরান্ডা ও স্টাফ দীপেশকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর গত তিনদিন পরপর জেরা করা হয় রিয়াকে।