ক্রীড়া ডেস্ক :

ওয়েম্বলিতে ইতিহাস গড়লো ইংল্যান্ড। ২১ বছর পর বড় কোন টুর্নামেন্টে জার্মানকে হারিয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। আর তাতেই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল ইংল্যান্ড।

একই সঙ্গে ইউরোর মঞ্চে এই প্রথম দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিল জার্মানি।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। স্টার্লিং দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হ্যারি কেইন। তবে আক্রমণে কিছুটা পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড, তাদের পাঁচ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে জার্মানির ৯ শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।

ম্যাচের প্রথম মিনিটে থেকে চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তবে বিরতির আগে নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচেই জাল অক্ষত রাখা ইংল্যান্ডের রক্ষণ এদিনও ছিল জমাট। প্রথম তিন ম্যাচে পাঁচ গোল হজম করা জার্মানির রক্ষণভাগের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সও ছিল দারুণ।

৩০তম মিনিটে ডান দিক থেকে ইয়াসুয়া কিমিখ দূরের পোস্টে দারুণ ক্রস বাড়িয়েছিলেন; কিন্তু জায়গা মতো পৌঁছাতেই পারেননি রবিন গোজেন্স। দুই মিনিট পর সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন টিমো ভেরনার; কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সুযোগ। সময়মতো এগিয়ে গিয়ে রুখে দেন জর্ডান পিকফোর্ড।

বিরতির ঠিক আগে মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে আক্রমণে ওঠেন রাহিম স্টার্লিং। ডি-বক্সের মুখে ডিফেন্ডারদের বাধায় যদিও পড়ে যান তিনি, কিন্তু বল পেয়ে যান ফাঁকায় দাঁড়ানো হ্যারি কেইন। তবে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি রাশিয়া বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬ গোল করা এই স্ট্রাইকার।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়ায় ইংল্যান্ড। এরই সুবাদে ৭৫তম মিনিটে স্টার্লিংয়ের গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা। দলীয় আক্রমণ থেকে কেইন জ্যাক গ্রিলিশকে দেন। গ্রিলিশ লুক শ’র দিকে বল ঠেলে দিলে তিনি স্টার্লিংকে পাস দেন। আর সেখান থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি এই ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার।

এগিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইংলিশরা ১০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে। লুক শ’র পাস জ্যাক গ্রিলিশ পেলে তিনি কেইনের দিকে চিপ করে ক্রস করেন। সেখান থেকে হেডের মাধ্যমে জালে জড়ান এই টটেনহ্যাম তারকা।

বড় মঞ্চে জার্মানি সামনে পড়লেই যেন পথ ভুলে যায় ইংল্যান্ড। জার্মানির বিপক্ষে ১৯৯০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ১৯৯৬ ইউরোর সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছিল ইংল্যান্ড। এরপর ২০১০ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জার্মানির বিপক্ষে উড়ে যায় দলটি। এবার এর খড়া কাটালো গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।

সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গ্যারেথ সাউথগেটের দল মুখোমুখি হবে সুইডেন ও ইউক্রেনের মধ্যে বিজয়ীর বিপক্ষে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে