মহীতোষ গায়েন, মফস্বল সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ:     

 জামিন পেলেন আজ সকালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।

এই চারজনের গ্রেফতারি নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানার চলে। ভার্চুয়ালি মাধ্যমে আজ তাদের জামিনের শুনানি হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিকেলের পর শুনানি শেষ হয়। এরপর ৬.৫০ নাগাদ জানা যায়,  প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেছেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক। সিবিআই চারজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়েছিল। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

জানা গিয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই উচ্চ আদালতে যেতে পারে। ধৃতদের আইনজীবী জানিয়েছেন, আমরা আদালতে জানিয়েছে, যখন তদন্ত শেষ তখন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার কোনও কারণ আছে কি? আবার গ্রেফতারের পর তাদের কি করে তারা জেল হেফাজত চাইতে পারে। সওয়াল-জবাব শেষে ধৃতদের আইনজীবীর দাবি মেনে নিয়ে সবার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। আদালতের এই রায়ে স্বস্তিতে ওই নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূল।

কোভিড পরিস্থিতির জন্য ভার্চুয়াল শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই শুনানি চলে। সিবিআই পক্ষের আইনজীবী ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার আর্জি জানান। সিবিআই-এর যুক্তি, ধৃতরা সবাই প্রভাবশালী। বাইরে বেরিয়ে প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন। ধৃতদের আইনজীবীরা পাল্টা যুক্তি দেখান, ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক। সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তাই তাঁকে প্রয়োজন। নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিট পেশ হয়েছে আইপিএস এসএমএইচ মির্জার নামেও। নারদ মামলায় ধৃত চারজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। কিন্তু, আদালত সিবিআইয়ের সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি। সিবিআইয়ের দাবি খারিজ করে দিয়ে প্রত্যকের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় ৪ জনেরই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যেতে পারে সিবিআই। আপাতত সিবিআই এখন সেই পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে