সাবেক ডেপুটি স্পিকার একজন মন্ত্রী, দুইজন প্রতিমন্ত্রী এবং নয়জন সাবেক সংসদ-সদস্যের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে আজ সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের শুরুর দিনে নিয়ম অনুযায়ি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
মৃত্যুবরণকরীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্য শওকত আলী, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আ.খ.ম. জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ-সদস্য মোঃ খালেদুর রহমান টিটো, সাবেক সংসদ-সদস্য শাহ-ই-জাহান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবু হেনা, সাবেক সংসদ সদস্য এম.এ. হাসেম, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যডভোকেট আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সাবেক সংসদ-সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, সাবেক সংসদ সদস্য সামসুদ্দীন আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য নুরজাহান ইয়াসমিন এবং সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট খালেদা পান্না।
এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের কামরা পরিচারক মোঃ কোরবান আলী মৃত্যুবরন করেন। সংসদ থেকে তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জ্ঞাপন এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচী, সংসদ-সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের মাতা এবং সংসদ-সদস্য শেখ তন্ময়ের দাদী শেখ রাজিয়া নাসের, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ রানী, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট নারী নেত্রী আয়শা খানম, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ভাষা সৈনিক মো. জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া, সাবেক সচিব, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি ও গবেষক মনজুরে মওলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মুহ. আবদুল হান্নান খান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খান, বীর উত্তম ক্যাপ্টেন আকরাম, বিশিষ্ট অভিনেতা আব্দুল কাদের এবং বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশে যে সকল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন-পুলিশের সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ, ব্যবসায়ী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মৃত্যুতে সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
এছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ, সকল বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।
এর পর শোক প্রস্তাবগুলো সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়। পরে সকল বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও মাগফিরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।