নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ ১১ই জ্যৈষ্ঠ; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্মদিন। ১৮৯৯ সালের এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ার এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন তিনি।
শৈশব ও কৈশোরের দুখু মিয়া, তারুণ্যে বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছেন। অসম্প্রদায়িকতা, সাম্য এবং মানবতার জয়গানে হয়ে উঠেন উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান কবি, আর আমাদের জাতীয় কবি। মাত্র ২২বছরের সাহিত্য জীবনে তাঁর যে স্বতন্ত্র ও বিশাল কর্মযজ্ঞ, তার ঐশ্বর্যময় দিপ্তীতে আজো আলোকিত বাংলা সাহিত্য।
বাংলা সাহিত্যের ধুমকেতু, কাজী নজরুল ইসলাম। বারে বারেই প্রেমে পরেছেন কখনো সেই প্রেম প্রেয়সীর প্রতি, কখনো প্রকৃতির প্রতি।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে মানবতার প্রেমই তাঁকে করেছে মহিয়ান। যদিও বাংলা সাহিত্যে এই কবির পরিচয় বিদ্রোহী হিসেবে। নিপীড়িত নির্যাতিত বঞ্চিত লাঞ্চিত মানুষের প্রতি প্রেম তাকে বারে বারে বিদ্রোহী করে তুলেছে , গেয়েছেন সাম্যের গান।
কাজী নজরুল ইসলাম সাধারণ মানুষের দু:খগাথা, জীবনাচরণ তাঁর সৃষ্টিতে তুলে এনেছে সুনিপুন ভাবে। তাঁর কবিতা, গান, সৃষ্টিকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরনের সৃষ্টি করেছে।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায় এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার চেতনার মূল উৎস অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতাবোধ। সাম্য আর সম্প্রীতি ভাবনায় প্রকাশ পেয়েছে কবির স্বদেশচেতনা। মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর কবিতা ও গান ছিলো প্রেরণার উৎস। মধ্যবয়সে বাক শক্তি হারিয়ে ফেলায় আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে।
সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবাষ্প আবারো বাঙ্গালীর জীবনে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, তা রুখে দিতে নজরুলের কবিতা, গান, উপন্যাস যথার্থ হতিয়ার ।