প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর ডিপ্লোমেসি। যা ছিল আমাদের জন্য বিরাট একটি সাফল্য, অর্জন। তার দেখানো পথেই কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার।’ 

তিনি আজ শুক্রবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমির নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ আমি সরকার গঠনের পর থেকে সেই নীতি নিয়েই চলছি। আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে বাংলাদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে দিকেই আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বটা একটি গ্লোবাল ভিলেজ। সেখানে উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে দরকার। আমরা যাই কিছু করতে যাইনা কেনো সব কিছুতে সকলের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের যে ভৌগলিক অবস্থান তাতে আমাদের নানান ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি বলেই জনগণের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। আমরা আমাদের জনশক্তিকে মূল শক্তি হিসেবে দেখি।’

প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘আমি ১৬ বার জাতিসংঘে গিয়ে ভাষণ দিয়েছি। সেখানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এবার মহামারি ভাইরাস করোনার কারণে যেতে পারিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের মূল লক্ষ্য তৃণমূল মানুষের উন্নয়ন। দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার কারণেই আজ দেশে উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। মানুষ সুফল পাচ্ছে।’

করোনায় যাতে কম ক্ষতি হয় সে লক্ষে সরকার কাজ করছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘দেশে যেনো কোনোভাবেই খাদ্যের সংকট না হয় সে লক্ষে সরকার খাদ্য উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহের যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে