ক্রীড়া ডেস্ক:
জোড়া সেঞ্চুরিতে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার (২৪শে মে) দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। প্রথম সেশনে মুশফিকের লড়াইয়ে শক্ত পুঁজি নিয়ে ইনিংস ছাড়ে স্বাগতিকরা।
কিন্তু বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জবাবটা ভালোই দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ হারানোর সুবিধা কাজে লাগিয়ে দিন শেষে লড়াইয়ের আভাস দিয়ে রাখল দিমুথ করুনারত্নের দল।
গোটা দিনে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে ২ উইকেট হারিয়ে সফরকারীরা স্কোর বোর্ডে জমা করেছে ১৪৩ রানে। বাংলাদেশের থেকে প্রথম ইনিংসে এখনো ২২২ রানে পিছিয়ে থাকলেও ঢাকা টেস্টে দাপট লঙ্কানদেরই। আগামীকাল বুধবার ম্যাচের তৃতীয় দিন দিমুথ করুনারত্নে ৭০ এবং নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা কাসুন রাজিথা শূণ্য রানে নিয়ে আবার ব্যাটিং শুরু করবেন।
আজ দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার ওসাধা ফার্নান্দোর বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সড়া দেন আম্পায়ার। তবে সাথে সাথেই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ওশাধা, ভাগ্য গেল অধিনায়ক মুমিনুল হকের বিপক্ষে। উইকেট বঞ্চিত খালেদ আহমেদ। এরপর যত সময় গড়িয়েছে ততই ম্যাচের দখল নিয়েছে শ্রীলঙ্কা দল।
আজ টেস্টের দ্বিতীয় দিন মুশফিকুর রহিমের লড়াইয়ের পর প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত মুশফিক নিজে খেলেছেন অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস। ৩৫৫ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ২১টি বাউন্ডারি দিয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানটা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। এ ছাড়া আগের দিন থিতু হয়ে যাওয়া লিটন খেলেছেন ১৪১ রানের ইনিংস। ২৪৬ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা দিয়ে।
মাঝে ব্যাট করতে নেমে ভালো করতে পারেননি দীর্ঘদিন পর ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাইজুল কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিককে। ৩৭ বলে দুই বাউন্ডারিতে ১৫ রান করেন তিনি। খালেদ আহমেদ রানের খাতা খুলতে পারেননি। থিতু হওয়ার চেষ্টা করে ইবাদতও শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন শূন্যতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ১১৬.২ ওভারে ৩৬৫/১০ (জয় ০, তামিম ০, শান্ত ৮, মুমিনুল ৯, মুশফিক ১৭৫*, সাকিব ০, লিটন ১৪১, সৈকত ০, তাইজুল ১৫, খালেদ ০, ইবাদত ০; রাজিথা ২৮.২-৭-৬৪-৫, আসিথা ২৬-৩-৯৩-৪, জয়াবিক্রমা ৩৮-৯-১০৮-০, রমেশ ১৪-০-৫৩-০, করুনারত্নে ৪-১-৮-০, সিলভা ৫-০-২১-০)।
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস : ৪৬ ওভারে ১৪৩/২ (ফার্নান্দো ৫৭, করুনারত্নে ৭০, মেন্ডিস ১১, রাজিথা ০, সাকিব ৯-৩-১৯-১ , খালেদ ৯-১-২৭-০, ইবাদত ৯-০-৩১-১,তাইজুল ১৭-১-৪৯-০ )।